বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৮ নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন সহজ নয়। জাপানে, কোরিয়ায়, মাঞ্চুরিয়ায়, আর চীনে আমার বৎসর দেড়েক কাটিয়াছে। চীন-জাপানী সভ্যতার একাল-সেকাল বুঝিবার জন্য বিদেশী ভাষায় লিখিত কতগুলা বই পড়িয়াছি, আর কতগুলা লিখিয়েপড়িয়ে লোকের সঙ্গে আত্মীয়তা ছিল ও অাছে তাহার তালিকা দিয়া কোনো লাভ নাই। এই সকল অভিজ্ঞতার কিছু কিছু পরিচয় চীনজাপান-ইয়োরামেরিকার বিভিন্ন পরিষৎ-পত্রিকায় বাহির হইয়াছে। এই সবের কিন্মৎ কতটা তাহার বিচারক অবশ্য আমি হইতে পারি না । কিন্তু যে-লোক কিছু জাপানী ভাষা জানে সে একমাত্র এই ভাষা-জানার খাতিরে তাহার যথার্থ বিচারক কিনা সন্দেহ । সমালোচক লিখিতেছেন,—“জাপানী পণ্ডিতগণ তাদের অধিকাংশ কাজই জাপানী ভাষায় বাহির করেন । ইংরেজিতে তারা কমই লেখেন ।” জাপানীদের বিদ্যাচর্চার নিন্দ করা আমার মতলব নয়। আমার দেশও যে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জাপানী মাপে প্রশংসনীয়ই বটে এই কথা বলা আমার উদ্দেশু । জাপানীরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে জাৰ্ম্মান-ইংরেজ-মাকিণফরাসীদের সমান নয় এই আমার মত। ইংরেজিতে জাপানীদের রসায়ন, চিকিৎসাশাস্ত্র, প্রাণবিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ক গবেষণার পরিচয় নানা ইয়োরামেরিকান বিজ্ঞান-পত্রিকায় পাওয়া যায়। কাজেই জাপানী কৃতিত্বের দৌড় জাপানী ভাষায় অনভিজ্ঞ বিদেশীদের পক্ষেও জানিবার উপায় আছে। কয়েকজন অতি প্রসিদ্ধ লোকও আছেন সন্দেহ নাই । জাপানী ভাষায় জাপানীরা যে-কাজ করিতেছেন তাহাকে জাপানী-জাস্তা বিদেশী লোকের পক্ষে হয়ত বা অতি-কিছু বিবেচনা করিবার কারণ থাকিতে পারে । কিন্তু জাপানীরা সাধারণতঃ বলে,—“আমরা বিদেশী জ্ঞান-বিজ্ঞান মাতৃভাষায় প্রচার করিতেছি।” আধুনিক জাপানী সাহিত্যের এই হইল প্রধান লক্ষণ । দর্শনচর্চা সম্বন্ধেও এইরূপ বৃত্তান্ত পাওয়া