বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\O88 নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন এশিয়ার ভবিষ্য-নিষ্ঠা” ( লাইপৎসিগ ১৯২২ ) গ্রন্থে প্রকাশিত হইয়াছে। এই গেল গোটা সভ্যতা-বিজ্ঞান বা সমাজ-তত্ত্ব সম্বন্ধে কথা । সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রে ভারতীয় রাষ্ট্র-প্রতিষ্ঠান ও সিদ্ধান্তগুলার কিন্মং বাহির করিবার জন্ত “পোলিটিক্যাল ইনষ্টিটিউশ্যানস অ্যাণ্ড থিয়োরিজ অব দি হিন্দুজ অর্থাৎ “হিন্দুজাতির শাসন-পদ্ধতি ও রাষ্ট্রনীতি” ( লাইপৎসিগ ১৯২২ ) নামক গ্রন্থ প্রচারিত হইয়াছে। প্রাচীন কালের ভারতসন্তান ভালয় মন্দয়, গ্রীক, রোমাণ এবং জাৰ্ম্মাণদেরই সমকক্ষ ছিল—এই কথা সেই গ্রন্থের প্রাণ। বর্তমান ভারত অথবা ভবিষ্য ভারত সম্বন্ধে এই কেতাবে কোনো কথা বলি নাই ; ভবিষ্য-নিষ্ঠার দর্শন ভবিষ্য ভারত কোন পথে চলিবে ? এই সম্বন্ধে যাহার যেরূপ খুসী তিনি সেইরূপ আদর্শ প্রচার করিতে অধিকারী। গোটা দুনিয়া কোন পথে চলিবে ? এই সম্বন্ধে যেমন প্রত্যেক লেখক, সমাজ-সংস্কারক, বৈজ্ঞানিক বা প্রপাগাণ্ডিষ্ট, নিজ নিজ মত জাহির করিতেছে, ভারত সম্বন্ধেও ভবিষ্যবাদীরা সেইরূপ করিবে ইহা স্বাভাবিক। স্বাধীন চিন্তায় বাধা দিবে কে ? যাহার মাথায় কিছু কিছু মগজ আছে, সেই এক-একটা দল পুরু করিতে অধিকারী। কিন্তু তাহ বলিয়া কোনো-একটা পথকে “পূরবী” এবং অপর কোনো পথকে “পশ্চিমা” দাগে চিহ্নিত করিতে বসিলে তর্ক-বিতর্কের আখড়ায় আসিয়া পাঞ্জা কষিতে হইবে । এই আখড়ায় আদর্শ, ভাবুকতা, মানবজাতির আশা, সমাজ-সংস্কারকের স্বপ্ন বা পীরবরের বাণী খাটে না । এখানে খাটে কেবল তথ্য, বাস্তব তথ্য, যাহা ঘটিয়াছে এবং যাহা ঘটিতেছে তাহার নিরেট বিবরণ। অর্থাৎ দেশী-বিদেশী, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য, ভারতীয়