বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাসের আর্থিক ব্যাখ্যা ○の> শতাব্দীর এক প্রথম স্বতঃসিদ্ধ । বলা বাহুল্য, দুনিয়ার “হাভাত্যে” “হাঘর্যে’ দরিদ্র নিয্যাতিত প্যারিয়াদের পক্ষে ইহাই একমাত্র বেদান্ত । যাহারা চাষ-আবাদে জীবন ধারণ করে, তাহাদের “স্বধৰ্ম্ম” অর্থাৎ রীতিনীতি লেনদেন শাসন-শোষণ—একপ্রকার। আবার যাহারা জানোয়ার চরাইয়া সভ্যতা গডিয়া তুলে তাহদের ধরণ-ধারণ“আত্মিক” জীবন আর একপ্রকার ! o সেইরূপ যাহারা ‘রোজ আনে রোজ খায়?” তাহারা বিশ্বশক্তিকে এক চোখে দেখে । আবার যাহার। যে জিনিষ তৈয়ারী করে সেই জিনিষ খায় না, সেইগুলার বদলে বাজার হইতে আর-একপ্রকার জিনিষ “কিনিয়া” আনিয়া খায়, আবার কিছু কিছু জমাইয়াও রাখে ; তাহাদের নিত্যকৰ্ম্ম-পদ্ধতি, তাহদের দর্শন, তাহদের জীবন-সমালোচনা, তাহাদের বিশ্বদৃষ্টি (“হেবণ্টনশাউঙ” ) অষ্ঠবিধ । fর চাষ-আবাদের ফলে বা আওতায় যে বিবাহ-পদ্ধতি, যে শিল্পকলা, যে ভগবদুক্তি দেখা দেয় অন্য কোনো প্রকার ধনস্থষ্টির ফলে বা আওতায় ঠিক সেইরূপভাবে এইসব না গজ হতেও পারে। শিল্পকৰ্ম্ম হাতের জোরে চলিলে একধরণের পরিবারিক ও সামাজিক নীতিশাস্ত্র গড়িয়া উঠে । কিন্তু সেই শিল্পই যন্ত্রের দ্বার চালিত হইলে দর্শন, সাহিত্য, মুকুমার শিল্প, ব্যক্তির সঙ্গে পরিবারের সম্বন্ধ, রাজার সঙ্গে প্রজার সম্বন্ধ, সবই নবরূপে দেখ দেয় । পল্লীস্বরাজ নামক সমাজ-শাসন বা রাষ্ট্রশাসন যে ধরণের কৃষিশিল্পবাণিজ্যের প্রতিমূৰ্ত্তি, নগরকেন্দ্র ঠিক সেইরূপ আর্থিক ব্যবস্থার সন্তান নয় ; ইত্যfদ ইত্যাদি । ( २ ) এই সকল বিভিন্নতা ও পার্থক্যের ভিতর জগতে উত্তর-দক্ষিণ পূৰ্ব্বপশ্চিম দিক-ভেদ নাই । শাদী চামড়া, লাল চামড়া, কাল চামড়া, হলুদে