বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৪৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদেশ-ফের্ভার অত্যাচার 8>@r হে সকল লম্বাচোঁড়া বোলচাল ঝাড়ি তাহার পশ্চাতে বাস্তবিক অভিজ্ঞতা এই পৰ্য্যন্ত । ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে অধ্যাপকদের “কেহ কেহ” ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের সম্বন্ধ কায়েম করিতে অভ্যস্ত । এই স্বত্রে অধ্যাপকের পত্নী, অধ্যাপকের বেটী, অধ্যাপকের শ্বাশুড়ী বা মা ইত্যাদি দুএক জনের সঙ্গে বৎসরে ছএকবার করমর্দনের সুযোগ জুটে । কিন্তু এই সকল সুযোগে বিদেশীসমাজের “আটপৌরে” জীবন স্পর্শ করা সম্ভব নয় । অধ্যাপকের পরিবার বা আত্মীয় স্বজন ভারতীয় শিষ্যকে নিজ নিজ “পোষাকী’ আদবকায়দা দেখাইবার দিকে বেশী নজর দিয়া থাকেন । অধিকন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ও প্রায়হ অন্তান্ত ভারত-সন্তানের মতন বিদেশীদের পদলেহন করিতে সুপটু ৷ কাজেই মেলা-মেশার আসল বন্ধুত্ব গজিয়া উঠিবার সম্ভাবনা খুবই অল্প । কথাটা শুনাইতেছে খারাপ। কিন্তু যুবক ভারতে কঠোর আত্ম-সমালোচনার যুগ আসিয়াছে । ( > t ) বিদেশ সম্বন্ধে বিস্তৃত এবং গভীর জ্ঞান লাভ কর। ভারতবাসীর পক্ষে বিশেষ আবশ্যক ! এই বিষয়ে ভারতীয় বিদেশ-ফেৰ্ত্তারা আজ পর্য্যস্ত বেশী দূর অগ্রসর হইবার হযোগ পান নাই। মোটামুটি এইরূপ ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে। অন্ততঃ এইরূপই আমার বিশ্বাস । মোজামিল রাখিয়া কথা বলিতেছি না । ভারত-সন্তানকে বিদেশ সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞ বা “বিদেশ-দক্ষ” রূপে গড়িয়া তুলিবার কৌশল ভারতে আলোচিত হওয়া কৰ্ত্তব্য। সেই আলোচনায় সম্প্রতি মাথা ঘামাইব না। কেবল বুঝিয়া রাখা গেল যে আজ পর্য্যস্ত এই দিকে আমাদের ওস্তাদির মাত্রা খুব কম ।