বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন (প্রথম ভাগ).pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ७० ) “সাধনা”, “ঐতিহাসিক প্রবন্ধ” ও “শিক্ষা-সমালোচনা” গ্রন্থাবলী ( ১৯০৭—১১ ) আর "গ্ৰীটিংস টু ইয়ং ইণ্ডিয়া” ও “নয়া বাঙ্গলার গোড়া পত্তন” ( ১৯২৭—৩২ ) রচনা সমূহের ভিতর আত্মিক পুল স্বরূপ বিরাজ করিতেছে “শুক্রনীতি”-“পজিটিভ ব্যাকগ্রাউণ্ড”-“বিশ্বশক্তি” গ্ৰন্থরাজি ( ১৯১২–১৯১৪ ) । “বর্তমান জগৎ" এবং প্রবাসে লিখিত বাংলা, ইংরেজি ও অন্যান্য গ্রন্থাবলীর ভিতর এই পুল পার হইয়া যাইবার পরবর্তী অবস্থা ধাপে ধাপে মূৰ্ত্তি পাইয়াছে। “ফিউচারিজম অব ইয়ং এশিয়া” ( যুবক এশিয়ার ভবিষ্যনিষ্ঠ, লাইপৎসিগ ১৯২২ ) গ্রন্থে এই জীবন-দর্শনের যুক্তিশাস্ত্র স্পষ্টরূপে ধরিতে পারা যায়। প্রাচীন ও মধ্যযুগে প্রাচ্যে-পাশ্চাত্যে আদর্শগত বা জীবনগত প্রভেদ ছিল না। বর্তমান কালেও নাই। অতএব যতদূর দেখা যায়, ভবিষ্যতেও থাকিবে না। সুতরাং ইয়েরামেরিকায় বিগত ৬-৭৫১ • ০ । ১২৫ বৎসরের ভিতর আর্থিক, রাষ্টিক ও সামাজিক কৰ্ম্ম ও চিন্তাক্ষেত্রে যাহা কিছু ঘটিয়াছে, এশিয়ায় ৭ আগামী ৩০ i৪৫৬৫ বৎসরের ভিতর তাহার প্রায় সব কিছুই ঘটিবে। বলা বাহুল্য ভারতেও সেই সব দেখিতে পাইব । এই হইতেছে বিদেশে লিখিত “ইকনমিক ডেহেবলপমেণ্ট" ( আর্থিক ক্রমবিকাশ ) গ্রন্থের ( ১৯২৬ ) শেষ সিদ্ধান্ত । আধ্যাত্মিকতার চিন্তায় বা কৰ্ম্মে পাশ্চাত্য ( খৃষ্টিয়ান ) নর-নারী প্রাচ্য ( হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান ) নরনারীর চেয়ে কোনো দিন থাটো নয়। আবার বৈষয়িকতার বা সংসার-নিষ্ঠার চিন্তায় বা কৰ্ম্মে প্রাচ্য কোনো দিনই পাশ্চাত্যের চেয়ে খাটো ছিল না। উনবিংশ শতাব্দীতে পাশ্চাত্য ছনিয়া খানিকট আগাইয়া গিয়াছে। তাহার পিছু পিছু ছুটিয়া তাহাকে পাকুড়াও করিয়া তাহার সমান হইতে চেষ্টা করাই বিগত ৫-৬•।৭৫ বৎসর ধরিয়া প্রাচ্যের সাধনা দেখা যাইতেছে । ইহাই সজ্ঞানে অজ্ঞানে