বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ মুনির শাসনও শিয্যের পক্ষে প্রত্যক্ষ ব্যাপার। মুতরাং প্রথম-পুরুবেন্ত (সম্ভবত ঐ শিয্যোক্ত ) ভূমিকায় তমসতীরের ঘটkটি কেবলমাত্র মুনিদৃষ্ট ক্ৰৌঞ্চবধ-ব্যাপারেই পৰ্য্যবসিত ঠুতে পারে মা ; উহার সহিত নিষাদের প্রতি মুনির তীব্র শাসন-বাক্য সমেত ঐ ঘটনাটি বা কাব্যের ভাষায় বলিতে গেলে, ঐ চিত্রটি সম্পূর্ণ। এই নিমিত্তই তমসা-তীরে মুনির সহিত একজন শিষ্য থাকার কাব্যগত সুন্দর সার্থকত । এদিকে, রামায়ণে বিশাল ভারতভূমি ও সমুদ্রপারে লঙ্ক পৰ্য্যন্ত রামের ভ্রমণ ও তৎসংশ্লিষ্ট কার্য্যাবলীর ভিতর আদ্যস্ত যে একমাত্র অখণ্ড স্বত্র লক্ষিত হয়, তাহ রাক্ষস-দমন s সেকালে আধ্যাবৰ্ত্তে রাক্ষসদিগের বিষম, অকথ্য অত্যাচারে তপোবনস্থ মুনি-ঋষিগণ সবিশেষ উৎপীড়িত হইতেন ; যাগযজ্ঞ করা তাহাদের পক্ষে দুষ্কর হইয়া উঠিয়াছিল। রামায়ণেও সে-কথা পাওয়া যায়। এমন কি, পঞ্চদশবর্ষীয় বালকদ্বয় রামলক্ষ্মণকে বিশ্বামিত্র যে তাহাদের বৃদ্ধ পিতার বক্ষ হইতে এক প্রকার ছিন্ন করিয়াই লইয়া গেলেন, তাহ রাক্ষসদিগের উৎপাত হইতে র্তাহার যজ্ঞ রক্ষা করিবার জন্যই। বিশ্বামিত্রের কাছেই রাম লক্ষণ নানাবিধ অস্ত্রপ্রয়োগ বিষয়ে দীক্ষাপ্রাপ্ত হইলেন এবং বিশ্বামিত্র তাহদের পরীক্ষা করিলেন ভীষণ তাড়কা-রাক্ষসীকে দিয়া রাম অনায়াসে তাড়কাকে বধ করি গেমিলে বিস্ময় উৎপাদন করিলেন । ইহাf fর বিশ্বামিত্র স্বীয় যজ্ঞস্থলে, ঐ দুই বালক:ে,ঃসদের উৎপাত নিবারণার্থ প্রহরীস্বরূপে 莎 dখানেও রাম রাক্ষসদিগকে বিধ্বস্ত করিয়াশিক্ষা সপ্রমাণ করিলেন দমনের প্রথম বা উদ্যোগ ইহার পরে চারি আসিবার কিছুকাল o বীৰ্য্যপটুতা ও গুরুর হইল রামায়ণে রাক্ষস భీ কি হয় –কবির ইচ্ছু অন্তরূপ । কবিঃ স্থায় রাক্ষসদিগের অত্যাচার দমন করাইবেন

  • ax .*.*, .

আলোনিৰ তিৰালি স্থল তৰাজপাটত ৰাষ্ট্র মধ্যে লক্ষ্মণ-সমেত সস্ত্রীক রামের বনবাস ঘটাইয়। কাব্য রাজ্যে করুণ রসের এমন একটা অমর প্রস্রবণ রাখিয়ী গিয়াছেন, যাহার তুলনা জগতে আর আছে বলিয়া আমার জানা নাই। সেই উদ্দেশ্বেই কবি কাব্যোচিত উপারে রামের যুবরাজত্ব নষ্ট করিলেন ; তাহার সহায়তার জন্য বীর লক্ষ্মণ সঙ্গে থাকিলেন এবং রাক্ষসদের মূলোৎপাটন পক্ষে কবির পরিকল্পনায় সীতারও প্রয়োজন—এইজন্ত সতীত্ব-বিবেকের বিদ্যুত্তাপিত লৌহবেষ্টনী দ্বারা সীতাকে সংরক্ষিত করিয়া কবি র্তাহাকেও রামের অমুগমন করাইলেন। অযোধ্যা কাদিতে থাকিল ; কিন্তু কবি নিৰ্ব্বিকারচিত্তে ঐ তিনজনকে বনপথে লইয়া চলিলেন । পথিমধ্যে রাত্রিবাসের জন্য রাম যে-আশ্রমেই আশ্রয় গ্রহণ করেন, সেইখানেই আশ্রম-মুনির মুখ দিয়া কবি রামকে রাক্ষসদিগের অত্যাচার কথা শুনাইতে-শুনাইতে র্তাহাকে দক্ষিণ-মুখে লইয়।যাইতে থাকিলেন। এইরূপ শুনিতে-শুনিতে রাক্ষস-দমন-কাৰ্য্য যেন রামের মনে বনবাসের একমাত্র “মিশন” হইয়। উঠিল। সীতা ও ইহা লক্ষ্য করিয়াছিলেন। কিন্তু সীতার কথায় অস্ত্রত্যাগপূর্বক ব্রহ্মচৰ্যা পরায়ণ হইয়। বনবাস-কাল কাটাইতে হইলে কবিনিদিষ্ট কার্য্য সম্পন্ন হয় না। তাই কবি রামের মুখ দিয়া বলাইয়াছেন যে, আৰ্ত্ত ঋষিদিগের বিপদে অস্ত্ৰধারণ ক্ষত্রিধৰ্ম্ম । তবে তিনি সীতাকে এই প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, বৈর ভিন্ন তিনি রাক্ষস-হিংসা করিবেন না। ক্রমে দণ্ডকারণ্যে রাক্ষসদিগের এক বিরাটু বাহিনী আছে শুনিয়া রাম তন্নিকটস্থ পঞ্চবটী-বনে আশ্রম করিয়া স্থখে তপোবন-বাস-মুখ ভোগ করিতে লাগিলেন। কিন্তু রামকে কবি সে-সুখ ভোগ করাইতে অযোধ্যার রাজত্ব ছাড়াইয়। বনে আনেন নাই । পঞ্চবটী বাস-ক্ষালে বৈর-স্বত্রে রামকে জনস্থানের চতুর্দশ সহস্র রাক্ষসকে সংহার করিতে হইল । ইহার পরে রাম নিশ্চয়ই নিশ্চিন্ত হইতে পারিতেন ; কিন্তু কবি নিশ্চিস্ত থাকিতে পারেন না। ধর-দূষণের সৈনাপত্যে জনস্থানের চতুর্দশ সহস্ৰ সেনাবাহিনী ত রাবণ-মহাক্রমের একটি শাখা মাত্র। তাহ ছিন্নভিন্ন হইলেও লঙ্কায় সে মহাদ্রুম শির छेक कर्मिग्री ...ጅ፰ - ; 、暴