বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈষ্ট ुम अिभमकाश শেষ হইল কই ? কবিকে তখন লৈাক-চক্ষুতে এক প্রকার নির্মম হইয়াই, কিন্তু কাব্যচক্ষুতে সম্পূর্ণ নিৰ্ভয়ে রাবণকে দিয়া গুপ্তভাবে রামের আশ্রম-লক্ষ্মীকে হরণ করাইতে হইল। এই সীতা-হরণ ব্যাপার দ্বারাই কবি রামের অয়ন-পথের সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিলেন এবং তাহাতেই রামায়ণের ঈপিাত কায্যের সম্পূর্ণরূপে সমাধান। এখন রাবণের শাস্তি ও সাঁজার উদ্ধার রামের একান্ত কৰ্ত্তব্য কার্য হইয়া দাড়াইল । এই কৰ্ত্তব্যবোধের ভিতরই কবির উদ্দেশ্যসিদ্ধি নিহিত । ঐ কর্তব্যবশেই কিষ্কিন্ধ্যায় গমনপূৰ্ব্বক অসংখ্য সেনাসংগ্ৰহ, আরও দক্ষিণ মুখে সেই বিবাট কিষ্কিন্ধ্য-বাহিনীর অভিযান, সাগরে সেতুবন্ধন ; এই সকল উদ্যোগের পরে লঙ্কায় উপস্থিতি এবং দীর্ঘকালব্যাপী যুদ্ধে সবংশে রাবণকে সংহার । এইখানেই রামের অয়ন শেষ । ইহার পরে, অযোধ্যায় প্রত্যাবৰ্ত্তন ও রাজ্যভার-গ্রহণ। এই হইল রামের চতুর্দশ বৎসর বিস্তৃত ও কবি-নির্দিষ্ট sinn (adventures ) ; অতি সংক্ষিপ্ত ও দ্রুতভাবে পঞ্চদশ বর্ষ বয়স হইতে আরম্ভ করিয়া এ পর্য্যন্ত রামের কার্য্যাবলী যাহা বর্ণিত হইল, সে-সকলের প্রতি সমগ্র দৃষ্টিপাত (ইংরেজীতে যাহাকে বলে birds-eye view বা পক্ষী-দৃষ্টিপাত ) করিলে অতি সুস্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয় যে, ঐ সব কাৰ্য্যাবলীর মধ্য দিয়া রেখার মত যে একমাত্র প্রেরণা অযোধ্য হইতে সুদুর লঙ্কা পৰ্য্যন্ত বিস্তুত, তাহ রাক্ষস-দমন । পবিত্র আৰ্য্যভূমে অনাৰ্য্য রাক্ষসদিগের নৃশংস অত্যাচার উপদ্রব নিবারণই রামায়ণ-কাব্যের অস্তুনিৰ্হিত বীজ, মজ্জা, মূল, বা মৰ্ম্ম-কথা এবং সবংশে রাবণবধে ঐ কাৰ্য্য ও রামের অয়ন সমাপ্ত। রামায়ণের ভূমিকাতেও দেখা যায়, এই মহাকাব্যখানির নামান্তর রাবণ-বধ — “রযুবর-চরিতং মুনি-প্রণীতং। দশশিরসণ বধং নিশাময়ঃম্ ॥ এখুন রামের কার্য্যাবলী আদ্যন্ত মনে করিয়া তমসা তীরের ঘটনাটির প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিবামাত্র সহজেই । প্রতীতি হইবে যে,সমগ্র রামায়ণের মূলকথাটতমসা তীরের ঘটনা-রূপ সক্ষেতে কুন্দর প্রতিফলিত। আধ্যাবর্ভেয় পঞ্জি ৰন্ধীকি রামায়ণের ভূমিকা ૪૧૧ তপোবনাদিতে অনার্য্য রাক্ষসদিগের নৃশংস অত্যাচার এবং আর্য্য রাম কর্তৃক তাহার দমন --রামায়ণের মূলকথাটি ভূমিকার সাঙ্কেতিক চিত্রে চমৎকার চি}িত হইয়াছে, পবিত্র তমসা তীরে নিষাদ কর্তৃক ক্ৰৌঞ্চবন্ধপ নৃশংস ব্যাপার সংঘটনে এবং তজনিত আৰ্য বাল্মীকি কর্তৃক নিষাদের প্রতি তীব্র ও ক্রুদ্ধ শাসনে। ইহাই তমসাতীরের ঘটনার ও বাল্মীকির মুখ-নিঃস্থত অভিশাপ-বাণীর গৃঢ়ার্থ, অর্থাৎ একটা ঘটনা দ্বার কাব্যের মৰ্ম্ম-নির্দেশ । অলঙ্কার-শাস্ত্রে ইহার নাম সূক্ষ্মলিঙ্কার, অর্থাৎ কোমরূপ সঙ্কেত দ্বারা ভাবী ঘটনার ইঙ্গিত করা। এখন দেখা গেল, তমসা-তীরে শিষ্য-দৃষ্ট ঘটনাটিকে রামায়ণের প্রতীক বা সঙ্কেত-স্বরূপে গ্রহণ করিলে, মুনির শাসন-বাক্যের ব্যাখা সহজ ও সরল হইয়া পড়ে ; উহার গৃঢ়াৰ্থ নিষ্কাষণে নানাবিধ কৌশলের কিছুই করিতে হয় না ; অথচ রামের সমগ্র কার্য্যাবলীর মর্শ্ব ঐ শ্লোকটির মধ্যে জাজল্যমান রূপে ধরা পড়ে । রাক্ষসদমনরূপ স্বত্র ধরিয়া মুনিবর মুক্তাধিক সৌন্দৰ্যবিশিষ্ট্ররত্নাদির যথাযথ সমাবেশেই এই অপূৰ্ব্ব মহাকাব্যথানি গ্রন্থন করিয়াছেন । ইহার ঘটনাবলী এমন কাব্যোচিত নিপুণ ভাবে সংশ্লিষ্ট এবং ইহার পাত্রপাত্ৰীগণ এমন কালজয়ী আদর্শ স্কুরূপ যে, যুগযুগান্তর ব্যাপিয়া এই মহাকাব্যথানি ধ-রূপে সমাদৃত ও পূজিত হইয়া রামায়ণ-কাব্যের w * - ...