বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দ্বাত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○Hエ


كريسمسيحيي

সমুদ্রস্নান করতে এসেছে। অল্প দূরে হালালে নামে জেলেদের একটি ছোট গ্রাম। এখানে এক শহীদের ( আত্মত্যাগী বীরের ) সমাধি আছে, ইনি গত যুদ্ধে ইংরেজ-সেনার বুশীর অধিকারে বাধা দিয়ে কয়েক সপ্তাহ যুদ্ধের পর নিহত হন। খাওয়াটা হ’ল এদেশের মতে । পোলে৷ ( পোলাও আ মা দে র ঘি-ভাত ), বেগুন ও শাক দিয়ে মুর্গার তরকারি, আলুভাজ, মাংসের কিমার কট্‌লেটু, সিরকায় ফেলা আচার, খুব নরম ভেড়ার মাংসের ( দুম্বার ) কালিয়, কাচা মূলে, রুটি ইত্যাদি । ঝাল বা গরম-মশলার ব্যবহার একেবারেই নেই, পিয়াজের চিহ্নমাত্রও দেখলাম না এবং শুনলাম সেটার বেশী ব্যবহার এদেশে ভদ্রসমাজে চলিত নয়। রুটিটা তুন্দুরে সেকা, চৌকোণ, মোট মার্কিন কাপড়ের মত পুরু এবং প্রায় এক গজ লম্বা-চওড়, খেতে বেশ মুচ-মুচে । শুনলাম, কাজেরুপ । বাগ-এ-নজরের পুষ্পোদান, পিছনে প্রকাও কমলালেবু গাছের শ্রেণী এ জিনিষটি এর একসঙ্গে কুড়ি-পঁচিশ দিনের মত করে, পারস্ত-ভ্ৰমণ ԳoՎ) বিশেষ কিছু বিকৃতি ঘটে না। খাওয়া হাত দিয়েই চলে। জল রাখবার পাত্রটি রঙীন চামড়ার কুঁজোর মত, তিনটি রঙীন কাঠের পায়ার উপর বসান, নাম স্থলচ । খাওয়ার পর ছোট ছোট কাচের গ্লাসে বিনা-দুধের চা প্রতি পনরকুড়ি মিনিট অস্তর ক্রমাগত চলল। কাজেরুণ । দূরের দৃষ্ঠ খেজুরবাগান থেকে একটু তফাতে একটা কুয়া ছিল, তার জলের রং ঈষৎ খড়ি গোলার মড এবং স্বাদও ফোটান জলের মত । সেখানে আশেপাশের গ্রামের মেয়ের কাপড়কাচ, জলভরা ইত্যাদি করছিল। তাদের রং বেশ ফরস, পরণে ঢ়িলা খাট পাজাম, তার উপর রাতকামিজজাতীয় একটা জাম, বুকের ওপর পাহাড়ীদের মত এক টুকরা কাপড় বাধা এবং সবার উপরে মাথার ওপর থেকে সারা গা ঘিরে একটা কাল কাপড়ের ওড়না—নাম চাদর । জল ভরছিল ভিস্তিদের মত মশকে । জল ভরে সেটা মাটিতে রেথে তার ওপর চিৎ হয়ে শুয়ে মশকের চামড়ার ফিতেটা কপালে লাগিয়ে (পাহাড়ীদের মত ) একটানে সোজা হয়ে উঠে নিয়ে যাচ্ছিল । ছোট ছেলেমেয়েগুলি দেখতে স্বন্দর, মুখচোখেরও গড়ন ভাল। বড় মেয়েগুলির মুখ কঠোর এবং রুক্ষ। জল ছিটিয়ে নরম ক’রে নিয়ে রুমালের মত ভাজ করে এখানে ঘোমটা আবরুর খুব বেশী বালাই দেখলাম না, রেখে দেয়। এই শুকনো দেশে বাসি হওয়ার দরুণ কিন্তু শহরে সেটা আছে। এ দেশের লোকেদের ফরস