বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৃথিবীর বৃহত্তম নদী আমাজন 8b”እs সুস্থ নেই, যারা একটু ভাল আছে, তারা আমাশয়ে ভুগছে। ১৮৭৮ সালের মত এবারও রেল-তৈরীর কল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে এমনই দাঁড়াল ব্যাপারটা। এই বিপুল চেষ্টা ও অর্থ ব্যয় যাতে ব্যর্থনা হয়, তার জন্যে কোম্পানী উঠে পড়ে লাগল। প্রতি বৎসর দু টন কুইনিন আমদানী করার ব্যবস্থা হল এবং প্রত্যেক লোককে দৈনিক আহাৰ্য্যের সঙ্গে কুইনিন খেতে দেওয়ার নিয়ম ‘প্রচারিত হল । মশার উপদ্রব্য নিবারণের জন্যে সমস্ত ঠাকুর দরজা 8 - - س - - - - - - - محمسسيس

জানালায় সরু তারের জালির পর্দা টাঙানো; হ’ল । বড় হাসপাতাল তো ছিলই, তা ছাড়া অনেক জায়গায় জঙ্গলের মধ্যে ছোট হাসপাতাল ও সমগ্র লাইনে হাসপাতাশ টেনের ব্যবস্থা করা হ’ল ।

মাকিণ যুক্তরাজ্য থেকে ভাল ভাল ডাক্তার আন। হ’ল, তঁরা মোটর-টলিতে লাইনের সর্বত্র সারাদিন ঘরে কুলি-মজুরদের স্বাস্থ্য পরিদর্শন ও চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত রইলেন। আমাজনের বুকে । ক্যাঙেলেরিয়া নামক স্থানে বড় হাসপাতাল বসা’ণ হ’ল। লাইনের বিভিন্ন তঁবুতে যারা সাংঘাতিক অসুস্থ, তাদের এই কেন্দ্রীয় হাসপাতালে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হ’ল । ১৯০৮-১১ সালে ক্যাঙেলেরিয়া হাসপাতালে সৰ্ব্বশুদ্ধ ৩০,৪৩০ রোগী 'আনীত হয়েছিল। মানুষের অধ্যবসায়, বুদ্ধি ও কৰ্ম্মশক্তির এত বড় জয় আর হয় নি। লোকালয় থেকে বহু দূরে দক্ষিণআমেরিকার এই ঘোর জঙ্গলাবৃত স্থানে প্ৰকৃতির সঙ্গে, রোগের সঙ্গে, পূৰ্ত্তবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের এই যে মহাযুদ্ধ, কোন ইতিহাসে এই যুদ্ধের কথা লেখা নেই, এ সব কথা ইতিহাসে লেখা থাকেও না-এই বিরাট যুদ্ধে শেষকালে अक्षी श्शछिल भiश् । কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় রেলপথ তৈরীতে এত বিলম্ব হয়ে গেল যে, ও থেকে আর আর্থিক সুবিধা হ’ল না। রবার রপ্তানীর সুবিধার জন্যই রেলপথ করা । কিন্তু ১৯১১ ELYS BBL SDKLD BBBLL S LLYYLLE EDBS বলিভিয়া থেকে আনীত রবারের চাহিদা কমে গোল বাজারে ; তার উপর এদিকে রেলরাস্তা প্ৰস্তুত করবার ব্যয়ের অঙ্ক দেখে ব্ৰেজিল গবৰ্ণমেণ্টের চক্ষু স্থির হ’ল । ©ዘጓi፬ማ ጻሸጻ ባቐgiቐኮጻ ጻim : নান 借由 রেল তৈরীর মোট ব্যয় পড়েছিল ত্ৰিশ কোটি ডলার। রেলপথে ট্রেন চালানোর কণ্টাক্ট নিয়েছে একটি ব্রিটিশ কোম্পানী । এ জন্যে ব্ৰেজিল গবৰ্ণমেণ্ট খরচ বাদে কিছু কমিশন ঐ কোম্পানীকে দেন। সপ্তাহে একখানি টেন পোটোভেলো ও গুয়াজিারা মিরিমের মধ্যবৰ্ত্তী জঙ্গলের পথে যাত্রা করে । রাত্রে সেখানা আদুনা গ্রামে থাকে। পথিকদের জন্যে এখানে খাবার খুব ভাল বন্দোবস্ত আছে।