বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SSo बिाष्द्ध-कश्र९ গুয়াজিারিম একটা ছোট সহর, এখান থেকে আমাজনের বিখ্যাত জঙ্গল আরম্ভ হয়েছে। এ স্থান থেকে ছোট একটা খাল বেয়ে গেলে গুয়াসোর বা “দুগ্ধ’ নদীতে যাওয়া যায়। ১৯১৩ সালে প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট এই সহর থেকে যাত্রী সুরু করেছিলেন । ক্যাঙেলেরিয়া হাসপাতাল এখনও আছে। অনেক দূর থেকে রোগী এখানে আসে চিকিৎসার জন্যে। ম্যাডির নদীর তীরে সবুজ তৃণাকৃত ক্ষেত্রের মধ্যের হাসপাতালের সুদৃশ্য প্রাসাদোপম আটালিকা অনেক দূর থেকে দর্শকের চক্ষুকে আকৃষ্ট করে। এর দরজা জানাল সরু ইস্পাতের জালের পর্দা দিয়ে ঘেরা। হাসপাতালের চারিপাশে মনোরম পুষ্পেপাদ্যান ও কৃত্ৰিম ফোয়ারা । ম্যাডির নদীর বিশাল আরণ্য ভূ-ভাগে ডাঃ উইলিয়ম এমরিককে চেনে না বা শ্ৰদ্ধা করে না, এমন কোন শ্বেতকায় লোক বা অসভ্য ইণ্ডিয়ান নেই। রেলপথ তৈরীর সেই ভীষণ দুদিনের সময় থেকে ডাঃ এমরিক এই হাসপাতালের অধ্যক্ষ । তার সুচিকিৎসায় ও সুব্যবস্থায় যে কত রোগীর প্রাণ রক্ষা হ’য়েছে, তা গুণে শেষ করা যায় না। এত বড় নিঃস্বাৰ্থ, উদারচেতা, সেবা ব্ৰতী বীর কদাচ দেখতে পাওয়া যায়, কিন্তু বাইরে ক'জন লোক একে চেনে ? জগতে এমনি হয়, কাঞ্চনকে কেউ চেনে না, কাচ নিয়ে লাফালাফি করে । আমাজন নদীর তীরবর্তী ভূ-ভাগ কর্দমময় জলাভূমি নয়। ২,৭০০,০০০ বৰ্গ মাইল আমাজন নদীর অববাহিকার মধ্যে শতকরা ৫ ভাগ মাত্র ভূমি বন্যা বিনা ডুবে যায়। বাকী জায়গাটা একটা উঁচু ডাঙ্গা। কোথাও কোথাও দীর্ঘ, অনুচ্চ পাহাড় আছে, কোথাও বড় বড় পাহাড় আছে। সারা বন্দর থেকে নদীর উ জা ন পথে একদিন গেলেই দীর্ঘ পৰ্বতমালা १iक्षांद्र लेि द्रबांद्र भान। श्वांछि । দেখা যাবে। পশ্চিমে বহুদূৱ পৰ্য্যন্ত সেটা চলে গিয়েছে । দক্ষিণে বড় বড় তৃণাবৃত প্ৰান্তর, এখানে পশুপাল সারাদিন চরে বেড়ায়, এদিকে নদীর খালসমূহ খুব বেশী, পাহাড় ও উচ্চভূমির সংখ্যা কম। উত্তরে বড় বড় ঘাসেঙর সমতল ক্ষেত্র, অনেকটা পাম্পাস জাতীয় धूं | আমাজন নদীর বিখ্যাত জঙ্গলপ্রধান নদী খাতের পূর্বে ও পশ্চিমে। উত্তর-পশ্চিম দিকে রিও ব্রঙ্কোর তীরবর্তী মুক্ত তৃণাবৃত প্ৰান্তর। তার চারিদিকেই বড় বড় পর্বতমালা ব্রিটিশ গায়েনার সীমা পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত। দুধারে ঘন জঙ্গল, মধ্যে সুড়ি নদী-দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ বনের পথে চলাবার পরে মন যখন অবসন্ন হয়ে পড়ে, তখন রিও ব্রঙ্কোর মুক্ত তীরভূমি পথিকের প্রাণে নতুন আনন্দের সঞ্চার করে। নিবিড় অরণ্যের পরপর থেকে মুক্তিলাভ করে দেহ ও মন দুৱবৰ্ত্তী পৰ্বতশ্রেণী থেকে প্রবহমান শীতল বায়ুর সম্পর্শে নবজীবন পায় । আমাজন নদীর জঙ্গলে গাছপালায়, লতাপাতায় খুব জড়ােজড়ি ও নিবিড়তা নেই। সে আছে কেবল নদীর ও খালগুলির তীরের জঙ্গলে। প্ৰথম ষ্টীমার বা ডোঙ্গা থেকে দেখলে মনে হবে যে, জঙ্গল বুঝি সর্বত্রই এমনি নিবিড়,