বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

పరీe বিচিত্র-জগৎ সুৰ্য্যের আলো সমুদ্রের মধ্যে যতদূর প্রবেশ করে, সে পৰ্য্যন্ত প্ৰাণীদের এক রকম রং, আবার যেখানে আলো একেবারেই নেই-সেখানকার প্রাণীদের আর এক রকম রং। তবে এর মধ্যে বিভিন্ন শ্রেণী আছে। সাধারণতঃ যে ৮• • ফাদাম তলের স্বচ্ছ চিংড়ি মাছ ; এ পর্যন্ত মাত্র দুইটি জীবন্তু নমুনাজলের উপরে আনা সম্ভব হইয়াছে। সব প্ৰাণী জলের উপরের দিকে থাকে, তাদের পিঠের রং সমুদ্রের জলের রংএর মত ও পেট ধবধবে সাদা। তারপর যত নীচে যাওয়া যাবে, ততই নীল রং মিলিয়ে গিয়ে ধূসর, নয় তো একেবারে সবটাই সাদা । তারপর খানিক দূর পৰ্য্যন্ত প্ৰাণীদের দেহ একেবারে স্বচ্ছ, যেমন জেলি মাছ ও এক ধরণের চিংড়ি। এই শ্রেণীর সামুদ্রিক প্রাণী। কিন্তু খুব বেশী-গভীর সমুদ্রের মাঝামাঝি স্থানের কঁকুড়া, চিংড়ি, গলদা চিংড়ি, squid, প্রবাল-এর প্রায়ই স্বচ্ছ । আরও গভীর প্রদেশের প্রাণীরা অৰ্দ্ধস্বচ্ছ, রূপের মত চকচকে সাদা, বিচিত্র বর্ণ-নয় তো গোলাপী । এই পৰ্যন্ত সুৰ্যের আলোর গণ্ডী শেষ হ’ল । তারপর ঘোর অন্ধকারাচ্ছন্ন চির-রাত্রির দেশ, যেখানে বেশীর ভাগ প্ৰাণীকুল সুতো চালিয়ে চলাফেরা করে ও শিকার ধরে, ব্যবহারের অভাবে যাদের চোখ নিম্প্রভ, অকৰ্ম্মণ্য হ’য়ে দেহের সঙ্গে মিলিয়ে গিয়েছে। এখানকার প্রাণীদের রং হয় চারিপাশের ওই অন্ধকারের মত কালো-নয় তো টকটকে উজ্জ্বল লাল । পাঁচশো ফ্যাদিমের নীচে অধিকাংশ চিংড়ি কাকড়া জাতীয় প্রাণী টকটকে লাল এবং মৎস্যজাতীয় প্ৰাণী ঘোর কালো । সমুদ্রের উপরের দিক থেকে যতদুর সুৰ্য্যের আলো প্ৰবেশ করে, ততদূর পর্য্যন্ত প্ৰাণীকুলের প্রধান খাদ্য এক ধরণের আনুবীক্ষণিক উদ্ভিদ। বিজ্ঞানে এই জাতীয় উদ্ভিদের নাম ডায়াটম (diatonum )-এই ক্ষুদ্রতম উদ্ভিদ ছাড়া নানা জাতীয় সামুদ্রিক শেওলাও ওদের খাদ্য। মগ্নশৈলরাজির গুহায় গহবরে কিংবা পিচ্ছিল, আদ্র ঢালুতে অনেক রকম উদ্ভিদ জন্মায়া-চিংড়ি জাতীয় মাছের এই উদ্ভিদ প্ৰধান খাদ্য । কিন্তু যেখান থেকে অন্ধকারের রাজ্য আরম্ভ হ’ল, সেখানে ডায়াটম (diatom) আর মেলে না, সুৰ্য্যালোকের অভাবে কোন উদ্ভিদও গজায় না-সেখানকার আইন হচ্ছে “আমি তোমায় খাই” “তোমাকে আরো খায়’। অন্ধকারে খাদ্য জোটাও অত্যন্ত কঠিন-জীবন-যুদ্ধের নির্দয় প্রতিযোগিতায় যে হেরে গেল, সেই হ’ল খাদ্য, যে জিতলে সে বিজিতকে ভক্ষণ ক’রে নিজে বঁাচল । আর একটি অদ্ভুত ব্যাপার এই যে, শরীরের আকারগত বৈষম্য খাদ্য ও খাদকের সম্বন্ধে কোন প্ৰতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে না । যেখানে খাদ্য জোটানোই কঠিন সমস্যা, সেখানে সে খাদ্য ছোট কি বড় তা বাছবিচার করতে গেলে निgछल्ल फ्राईप्ठ ठिन ९g१ दछु भiछ ਜਿਸ 本便孺(砖讯 বদলাইয়া গিয়াছে। খাদকের চলে না-কাজেই এক হাত লম্বা প্ৰাণী হয় তো তিন হাত লম্বা প্ৰাণীকে খাচ্ছে-যার ওজন আধ সের, সে হয় তো দু সের ওজনের জীবকে উদরাসাৎ করছে। জীব-বিবৰ্ত্তনের কি অদ্ভুত রূপই সমুদ্রের অন্ধকার তলদেশে দেখা যায় !