বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমধ্যসাগর হইতে পিকিং ॥ Sካ”ግ তারপরে তকুসান গর্জের মধ্যে যখন আমরা এসে পড়েছি, সংবাদ পেলাম যে আপনারা আসছেন। তাই এখানে আপনাদের জন্যে অপেক্ষা করছি।” : লেফটেনাণ্ট পয়েন্টের বিবরণ শুনে প্ৰাদেশিক শাসনকৰ্ত্তাদের উপর আমার বিশ্বাস কমে গেল। এই সব অঞ্চলের ঘনীভূত রাজনৈতিক জটিলতার সঙ্গে আমরা পরিচিত নই, এখানে দেখলাম যে, পিকিং নামেই চীন সাম্রাজ্যের রাজধানী, কাৰ্য্যতঃ এই সব প্ৰাদেশিক শাসনকৰ্ত্ত যা ইচ্ছা তাই করেন। কেন্দ্রীয় গভর্ণমেণ্ট অনেক বিষয়েই হস্তক্ষেপ করতে চান না, অনেক বিষয় তঁদের কর্ণগোচরই হয় না । এর পরে দুই দল এক হয়ে আমরা উরুমচি পৌছুলাম উরুমচি সহরে অনেক গণ্যমান্য চীনা রাজকৰ্ম্মচারী ও পণ্ডিত বাস করেন । এখানে একজন মোঙ্গল রাজবংশীয় শিক্ষিতা মেয়ের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হ’ল । তিনি চমৎকার ঘোড়ায় চড়তে পারেন, গান গাইতে পারেন, ফরাসী ভাষা অনর্গল বলে যেতে পারেন ; ভাঙা ভাঙা ইংরাজীও বলতে পারেন, কিন্তু গ্রেট ব্রিটেনের ইংরাজি নয়, মার্কিন যুক্তরাজ্যের ইংরাজি । আমরা প্রশ্ন করলাম-আচ্ছ। রাজকুমারী, প্ৰাচ্য ও পাশ্চাত্ত্য জাতির মধ্যে সদ্ধাবের এত অভাব কেন ? আপনারা আমাদের ভাল চোখেই বা দেখেন না কেন ? রাজকুমারী বললেন-আমি প্যারিসে গিয়েছি, ইংলণ্ডে গিয়েছি । সেখানেও দেখেছি আপনাদের বড় বড় ক্লাবে বা হোটেলে আমাদের প্রবেশের পপে বহু বাধা । সুতরাং বুঝতে পারছেন এটা শুধু আমাদের দোষ নয়। আসল কথা কি জানেন ? চীনের বৃহৎ প্রাচীর। যেমন, আমাদের মনেও আপনাদের সম্বন্ধে একটা মানসিক বৃহৎ প্রাচীর ঘেরা আছে । আমরা সেই প্ৰাচীরের আড়ালে নিরাপদে থাকতে চাই আমরা চাই না। আপনারা আমাদের দেশে এসে আমাদের কাজের নিন্দ বা প্রশংশা করেন । আমরা আপনাদের নিন্দ বা প্ৰশংসা কিছুই চাই না। আমরা চাই আমাদের বৃহৎ প্রাচীরের আড়ালে শাস্তিতে থাকিতে । বোধ হয় তাই আমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক। আপনাদের জীবন যাত্রার ধারা আমাদের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়। ১৫ই নভেম্বর তারিখে ব্রুল, জোর্ডান এবং কাল সাইবিরিয়ার পথে প্যারিস যাত্রা করল। যাবার সময় তারা ফরাসী দূতাবাসের জন্য কিছু দরকারী কাগজ ও কয়েকখানা ফটোগ্রাফ নিয়ে গেল । উরুমচি থেকে পিকিং ২৩০০ মাইল। এই পথে আমাদের পূর্ব অভিযানের মোটর লুঠ ছয়েছিল। বালিয়াড়ি, মরুভূমি, নদী, পৰ্ব্বত প্ৰভৃতি দ্বারা পথও অতীব দুৰ্গম। মঙ্গোলীয় মালভূমির শীত অত্যন্ত প্ৰচণ্ড । যাওয়ার জন্যে পশমের ওভারকোট ও লোমশ চামড়ার জুতা, তৈরী করা হয়েছিল। আমাদের পরিচ্ছদের ভিতরের দিকে পশুলোমের আন্তর বসান ছিল । উরুমচিতে শীতকালে মেরুপ্রদেশের মত শীত। যথেষ্ট শীতবস্তু এখানে পাওয়া যায় এবং বেশ সন্ত । পথে

  • * ཚག་༥ ༣ ۴,۶ ح: . باده و

博 A . W ) :و مونس &চৌ-এর মন্দিরে নরকে পাপীদের সাজার দৃশ্য।