বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিচিত্র জগৎ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հե՞ե: fü西哥宋 অনেকগুলি পৰ্ব্বতগুহায় প্রাচীন যুগের বৌদ্ধ চিত্র অঙ্কিত আছে, আমাদের সঙ্গী চিত্রকর জ্যাকােভলেফ সেগুলি নকল করবার জন্যে রং, তুলি এবং চিত্রাঙ্কনের অন্যান্য সাজসরঞ্জাম কিনে নিল । প্ৰথম গুহায় যখন পৌছেছি, তখন এত শীত পড়েছে যে, রংয়ের পাত্রে পাছে রং জমে যায়, সে জনে গ্যাসোলিনের ক্টোভের উপর রংয়ের পাত বসিয়ে রাখা হল। জ্যাকভলেফ ছবির পর ছবি নকল করে যাচ্ছে, আমরা বিষম শীতে গুহার মধ্যে আগুন জেলে বসে বসে দেখছি তার ছবি আঁকা । ছবির অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে, লেখাগুলিও অস্পষ্ট হয়ে এসেছে। অত্যন্ত পরিশ্রমের সঙ্গে কিছু কিছু পাঠোদ্ধার করা গেল। ধ্যানী বুদ্ধমূৰ্ত্তি, বৃষবাহনে শিল, হুন দাসুয়, মোঙ্গল পশুপক্ষী, মোনালিসার মত হাস্যমুখী তরুণী প্রভৃতি ছবির বিষয়বস্তু। মুরাটকের শাসনকৰ্ত্তা অনুগ্রহ করে আমাদের ফটোগ্রাফাতুলতে অনুমতি দিলেন। আমরা কয়েকটি পশুচৰ্ম্মের তাবু ও রাজপথের শোভাযাত্রার ফটো নিলাম । যে পথ দিয়ে আমরা যাচ্ছি, এটা ইতিহাস-প্ৰসিদ্ধ প্ৰাচীন বাণিজ্যপথ, টলেমির গ্রন্থে এর উল্লেখ আছে। মধ্যযুগেও ইউরোপের সঙ্গে এসিয়ার যোগসুত্ৰ স্থাপিত হয়েছিল। এই পথ দিয়েই। ফ্লোরেন্সের একজন কেরাণী মধ্যযুগে এই পথের বিস্তৃত বিবরণ দিয়ে গিয়েছে তার পুস্তকে। লোকটি যদিও মধ্য যুগের, কিন্তু তার মন সম্পূর্ণ আধুনিক ধরণের ছিল । এই সুদীর্ঘ পথের TRP - - - - - - - - - • • •ኳ ች” কোথায় কোন নগর বা গ্ৰাম, তার চাণ্ডউইসের দক্ষিণে পীত নদী : ফেরি বােটে উঠবার সময় বরফে গাড়ীর চাকা যাতে পিছলাইয়া ম্যাপ ও নক্সা, পণ্যদ্রব্যের দর, খাদ্যনা যায়, সে জ্যষ্ঠ বয়ক্ষে বালি বিছানো হইতেছে। : বস্তুর তালিকা ইত্যাদি সব উল্লেখ করে লোকটি তার বইখানাকে প্রত্যেক ব্যবসায়ীর পক্ষে একটি আবশ্যকীয় বস্তু করতে চেয়েছিল এবং অনেক পরিমাণ इउकाशीJ७ श्रभछिल,। · · · ভলগা নদী পার হয়ে আন্ত্রাকান; সেখান থেকে কাম্পিয়ান হ্রদের তীরবর্তী ভূভাগ দিয়ে খিবা ও বোখারা, তারপরে ইলি নদীর উপত্যক দিয়ে কারা-খোজা-এই ছিল প্রাচীন যুগের বাণিজ্য পথ। এখান থেকে মরুভূমির মধ্য দিয়ে পথ চলে গিয়েছে তিয়েনশিন। শুধু পণ্যদ্রব্য নয়, শিল্প, ধৰ্ম্ম, রাজনীতি, মুদ্রাযন্ত্র প্রভৃতিও এই পথে চলাচল করেছে। কারা-খোজা থেকে পথ অতীব দুৰ্গম হয়ে উঠল। মোটরের ড্রাইভার ও মিস্ত্রীদের আমরা কতবার প্রশংসা করেছি যে, সেই ভয়ানক শীতের রাতে তারা কি অমানুষিক ধৈৰ্য্য ও সহাশক্তি প্ৰদৰ্শন করেছিল। এক আধা দিন নয় প্ৰায়’তিন সপ্তাহ { আমরা তঁবু ফেলে বিশ্রাম করে সময় নষ্ট করিনি। আমাদের সঙ্গের একখানা মোটরে রান্না হত, আমরা পথে একবার মাত্র মোটর থামিয়ে রান্নার গাড়ীর পাশে দাড়িয়ে নিজের নিজের পাত্রে গরম ঝোল বা রাধা মাংস নিয়ে আসতাম। কুমুল সহরে প্রবেশ করবার পূর্বেই যুদ্ধের চিহ্ন চোখে পড়ল।