পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বারান্দাতে বসে আমি ও বীরেশ্বর বাবু গল্প করি। গাড়ী থেকে নেমেই আমি । খয়রামারির দিকে বেড়াতে গেলুম-কি সুন্দর, বৈকালেও একবার গেলুম -সেই বেগুনী রং এর বনকলমী ফুল। জল বেজায় বেড়েচে ইছামতীর। রাত্রে চাদ উঠল। শিয়ালদহ স্টেশনে একটা ইউরেসিয়ান টিকিট কালেক্টর দেখ লুম-ভারী সুশ্ৰী চেহারা। •शे ८नंग्श्व्र. »•७७ ॥ २8दृष्भ खांबा, भ७8• । yनिदांद्व क्षांड अडि श्नलू अझहऊलू cद्धांग । সকলে মোটরে দেবেনের সঙ্গে গোপালনগর গেলুম। হাজারীর অসুখ-ওদের দোতলায় গিয়ে দেখলুম। পঞ্চানন ঘোষকে জমির কথা বললুম। বৈকালে নৌকায় সাতভেয়ে তলায় বেড়াতে গেলাম। এক মুহূৰ্ত্তে মনে হোল কোথায় লাগে উড়িষ্যার পাল্লাহাড় স্টেটের বনভূমি, কোথায় বা হিমালয়ের sublime সৌন্দৰ্য্য। কুলে কুলে ভরা ইছামতী-ঝোপে ঝোপে ভায়োলেট বনকলমী ফুল-এদিকে আবার বেতের ঝোপ ঘন সবুজ, সে এক অপূৰ্ব ব্যাপার। সে সৌন্দৰ্য্যের তুলনা হয় না। সাত ভেয়ে ঠাকুরতলায় যখন গেলাম, তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে । প্ৰকাণ্ড বটগাছটা সন্ধ্যায় অন্ধকারে যেমন প্ৰশান্ত, গম্ভীর- তেমনি রহস্যময় দেখাচে । কিছু খাবার কিনে খেয়ে আবার নৌকায় উঠলাম। আসবার সময় সে কি অপূর্ব রূপ আকাশের, নদীজলের । মেঘের রং বদলে গেল-নদীজল রাঙা হয়ে উঠেচে । ধারে ধারে ক্ষেতে সন্ধ্যায় ঝিঙেফুল ফুটেচে । কত শান্তি মনে এনে দেয়-চারি ধার নিস্তািন্ধ, দূরে বহুদূরে পশ্চিম আকাশে শুক্রতারা উঠোঁচে। মনে হােল আমার স্থান এই পাড়াগাঁয়ে। নদীতীরের ছোট কুটীরে। কলকাতায় নয়-এদেরই কথা আমায় লিখতে হবে {-} এই ঝিঙেফুলের কথা -এই সহজ জীবনের কথা । জাৰ্ম্মানি থেকে ধার করে আনা complex জীবন সমস্যা। আমাদের দেশের নয়। রাত্রে দেবেন ও আমি, মিতে ক্লাবে বসে গল্প করলুম ! ১০ই সেপ্টেম্বর, ১৯৩৩ ৷৷ ২৫শে ভাদ্র, ১৩% • । রবিবার সকালে উঠে স্নান সেরে এলাম । বন্ধুর সঙ্গে গল্প করলুম খানিকটা! প্ৰভাতটা ভারী সুন্দর আজ-নিৰ্ম্মল শরতের প্রভাত । মিতের আড়তে বসে। অনেকক্ষণ গল্প করা গেল। সে আধ সেরা জিলাপী কিনে নিয়ে এল, আমাদের সবারই জন্যে। চা সহ সেগুলির সদ্ব্যবহার করলুম। সবাই মিলে বৈকালের ট্ৰেনে ১ বারাকপুরবাসী ।