বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মহাত্মা গান্ধীর কারাকাহিনী - অনাথ নাথ বসু.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৪
কারাকাহিনী।

প্রসন্ন থাকিতেন, আর মিঃ দাউদ মহম্মদের মুখে ত চব্বিশ প্রহর হাসি, লাগিয়াই আছে। শুধু তাই নয়, তিনি হাসি ঠাট্টা করিয়া অন্য সকল ভারতবাসীকেও হাসাইতেন।

 দুঃখ করিবার মত একটি ঘটনা জেলে ঘটিয়াছিল। একদিন কয়েকজন ভারতবাসী একস্থানে বসিয়াছিলেন, এমন সময় জনৈক কাফ্রি দারোগা আসিয়া ঘাস কাটিবার জন্য দুই জন লোক, চাহিল। কতকক্ষণ কেহই উত্তর দিল না, তখন মিঃ ইমাম আবদুল কাদির যাইতে প্রস্তুত হইলেন। তখনও তাঁহার সঙ্গে যাইবার জন্য কেহ উঠিল না। সকলেই দারোগাকে বলিতে আরম্ভ করিল, ইনি আমাদের ইমাম সাহেব, ইঁহাকে লইয়া যাইও না। একথা বলায় ব্যাপারটা আরও খারাপ হইল। একে ত সকলেরই ঘাস কাটিতে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল, সে কথা যাক্। যখন স্বজাতির নাম রাখিবার জন্য ইমাম সাহেব দাঁড়াইলেন, তখন ইহারা তাঁহার পদ প্রতিষ্ঠার পরিচয় দিল। তিনি ঘাস কাটিবার জন্য তৈয়ারী, আর কেহ নয়, ইহা দেখাইয়া তাহারা নিজেদের নির্লজ্জতারই পরিচয় দিল।

ধর্ম্ম সঙ্কট।

 আমার অর্দ্ধেক দণ্ডভোগ শেষ হইয়াছে এমন সময়ে ফিনিক্স হইতে টেলিগ্রাম আসিল যে, মিসেস্ গান্ধীর শরীর অসুস্থ। তিনি মৃত্যুশয্যায় শায়িত, এজন্য আমার যাওয়া উচিত। সকলেই এ সংবাদে উদ্বিগ্ন হইয়া উঠিল। আমি দ্বিধার মধ্যে পড়িলাম, ভাবিলাম—এখন আমার কর্তব্য কি? জেলার জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কি জরিমানা দিয়া যাইতে চাও?” আমি তৎক্ষণাৎ উত্তর দিলাম, “জরিমানা ত আমি কোনও অবস্থায়ই দিতে পারি না, প্রিয়জনের বিচ্ছেদ সহ্য করাও আমার সত্যাগ্রহ সংগ্রামের