একটি অঙ্গ।” এ কথা শুনিয়া জেলর হাসিল, একটু বিরক্তও হইল। সাধারণ ভাবে দেখিলে আমার এ সিদ্ধান্ত নিষ্ঠুর বলিয়া মনে হইবে। কিন্তু আমার ধ্রুব বিশ্বাস,—ইহাই সত্য ও শ্রেয়স্কর। স্বদেশপ্রেমকে আমি আমার ধর্ম্মের একটি অঙ্গ মনে করি। তাহাতে শুধু ইহাই বোঝায় না, যে, স্বদেশপ্রেমেই ধর্ম্মের সকল অংশের সমাবেশ আছে; কিন্তু একথাও বুঝিতে হইবে যে, স্বদেশপ্রেম ব্যতীত ধর্ম্ম পূর্ণ হইতে পারে না। ধর্ম্ম পালনের জন্য যদি স্ত্রীপুত্র বিয়োগ সহ্য করিতে হয়, তবে তাহাও সহা উচিত। তাহাদের সঙ্গ যদি চিরকালের জন্য হারাইতে হয়, তাহা হইলেও এই পথে চলিতে হইবে; ইহাতে লেশমাত্র নিষ্ঠুরতা নাই। ইহা ত’ স্বদেশপ্রেমিকের কর্তব্যই। যখন আমাকে আমরণ সংগ্রাম করিতে হইবে, তখন ইহা ছাড়া অন্য কোনও চিন্তাকে মনে স্থান দেওয়া উচিত নহে। যেদিন তাঁহার একমাত্র পুত্রের মৃত্যুসংবাদ আসিল, সেদিন তাহার করণীয় শেষ হইয়া আসিলেও লর্ড রবার্ট্স্ কাজ করিতেছিলেন, এবং একমাত্র পুত্রের দেহ সমাধিস্থ করিবার সময়ও যোগ দিতে পারেন নাই, কারণ তিনি যুদ্ধে ব্যাপৃত ছিলেন। এরূপ উদাহরণ জগতেব ইতিহাসে বিরল নহে।
কাফ্রিদের ঝগড়া।
জেলে অনেকগুলি খুনী কাফ্রি ছিল। তাহারা প্রায়ই লড়াই-ঝগড়া করিত, এমন কি, কুঠুরীতে বন্ধ করিয়া দিলেও ক্ষান্ত হইত না। কখনও কখনও ত’ দারোগাকেও অপমান করিত। কয়েদীরা দারোগাকে দুইবার মারিয়াও ছিল। এরূপ কয়েদীর সঙ্গে ভারতবাসীদের একত্র রাখিলে কি কুফল হয় তাহা ত’ স্পষ্টই বুঝা যায়। সৌভাগ্যের বিষয়,