পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岛8 মাণ্ডুকোপনিষদ। এবং ঘনপ্রজ্ঞ হইয়া থাকেন ; কারণ তখন মনের আর কোন প্রকার স্পন্দন থাকে না। দর্শন আর স্মরণ এই দুইরূপেই মনের স্ফুরণ হয়। ইহাদের অভাব হইলে এই পুরুষ অব্যাকৃতময় প্রাণরূপে অবস্থান করেন --ইহাই জাগ্রতের সুষুপ্তি। শ্রুতি বলেন- সাধা ষ্ট্রইনাল মন্ত্রী স্থান ইতি। প্রাণই এই সমস্তকে আপনাতে ংহার করেন । এই জন্য অব্যাকৃতময় প্রাণরূপে জগৎগত স্থষুপ্তিকালে যে প্রাঙ্গের অবস্থান হয় বলা হইল, ইহা যুক্তিযুক্ত। এখানে ইহাও স্মরণ রাখ যে, তৈজস পুরুবই হিরণ্যগৰ্ভ ; কারণ “মলীময়ীsয সুন্ধম” ইত্যাদি শ্রতিভ্যঃ এই পুরুষ মনোময় । মন যাহা, তাহা লিঙ্গরূপ। এই মনে স্থিত বলিয়৷ ঘিনি তৈজস, তিনিই হিরণ্যগৰ্ভ । মুমু । আচ্ছ স্থষুপ্তিকালে ইনি অব্যকৃতময় প্রাণরূপে থাকেন ইহা কিরূপে হইবে ? সুযুপ্তিকালে প্রাণত ব্যাকৃতাত্মক অথাৎ ব্যক্তীভূত। প্রাণ ত তখনও নাম ও রূপের সহিত ব্যাকৃত অর্থাৎ স্পষ্টভাবে যুক্ত। কারণ যে পুরুষ স্থপ্ত অবস্থায় আছেন, তাহার নিকটে যে মানুষ বসিয়া থাকে সে অতিশয় স্পষ্টরূপে প্রাণের ব্যাপার দেখে । তবে প্রাণের অব্যাকৃতত কিরূপে সম্ভব হয় ? BBB S BB BBBS BBBS BBS BBS BBBB BBB kB ও কাল কৃত পরিচ্ছেদের অভাব থাকে । তুমি বলিতেছে—যখন ‘আমার প্রাণ’ ‘অমুকের প্রাণ ইত্যাদিরূপে প্রত্যেক দেহে ভিন্ন ভিন্ন প্রাণের প্রতীতি হইতেছে, তখন প্রাণকে অব্যাকৃত, অবিভক্ত, এক - এইরূপ বলা যায় কিরূপে ? সত্য কথা। কিন্তু স্বলুপ্তিবান পুরুষের দৃষ্টিতে প্রাণের দেশকল বিষয়ে পরিচ্ছিন্নতা থাকে কি ? এই জন্য বলা হয়--ফুযুপ্তিানের_প্রাণ ও অব্যাকৃত এই দুই_এক । “আমার প্রাণ” বলিয়া অভিমান যিনি করেন তাহার কাছে প্রাণ ব্যাকৃত বলিয়া বোধ হয় সত্য, কিন্তু স্থযুপ্তি অবস্থাতে দেহাদি সম্বন্ধাধীন যে পরিচ্ছিন্ন ভাব তাহার কিছুই ত থাকে না । সেই জন্য ঐ সময়ে “আমার প্রাণ" এইরূপ অভিমানেরও তখন নিরোধ হয়।