বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাগুক্যোপনিষদ। والأمة ব্রহ্মকেই প্রাণ বলা হয় বল, তবে ইহাও বল যে, জীবপ্রসব-বীজাত্মকত্ব অপুরিত্যাগ করিয়াই সৎ ব্রহ্ম প্রাণশব্দবাচ্য অর্থাৎ জীবসমূহের উৎপত্তির বাজ তা লইয়াই সৎ ব্রহ্ম প্রাণ ! যদি বল নিববীজরুপ ব্ৰহ্মই প্রাণশব্দের বাচ্য ইহাই শ্রীতির অভিপ্রায়, তাহ হইলে শ্রীতি “লনি ननि” “यतो वा वंनिवर्त्तन्ते” “ध्र यदेव तद्द्रविट्तिाट्थी प्रविट्तिाৰুমি” অর্থাৎ নিগুৰ্ণব্রহ্ম কাৰ্য্যরূপ নহেন, কারণ রূপও মহেন ; তাহার নিকটে কার্ঘ্যের নিবৃত্তি হইয়া যায় ; তিনি বিদিত (কার্য) হইতে অন্যরূপ এবং তাবিদিত (কারণ ; হইতেও অন্যরূপ ; এইরূপ ভাবে নিগুণব্ৰহ্মকে কখন বলিতেন না, আবার স্মৃতিও বলিতেন না “ন সৎ তৎ নাসদুচ্যতে" তিনি সৎগু নহেন, আর অসং৪ নহেন। তবেই দেখ যদি নিগুণ বা নিববীজ ব্রহ্মই প্রাণশব্দৰাচ্য হয়েন, তবে স্থযুপ্তি আর প্রলয়ে সৎ ব্রহ্মে লীন জীবপুঞ্জের উত্থান অসম্ভব হয় । হয়না কি ? কেননা, মন যখন প্রাণে লয় হইল, তার প্রাণকেই যদি নিৰ্ব্বাজ ব্ৰঙ্গ তুমি বল তবে নিবাঁজে যাহা লয় হইল, তাহ নিববীজত্বও প্রাপ্ত হইল, সেখান হইতে মহাপ্রলয়ের পরে বা স্থষুপ্তির পরে জীবপুঞ্জের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা কোথায় ? কিন্তু স্থলুপ্তির পরে বা প্রলয়ের পরে যখন আবার সৃষ্টি হয়, দেখা যায় আর বলা হয়--নিৰ্ব্বাজ ব্রহ্ম হইতেই স্থাঃ হইতেছে, তখন ইহাই বলিতে হইবে যে, র্যাহারা মুক্ত হইয়া গিয়াছেন, তাহারাও সংসারে পুনরাগমন করেন। আরও দেখ, কৰ্ম্মবীজকে জ্ঞান দ্বারাই দগ্ধ করিতে হয় । কিন্তু গদি সল যায় হুমুপ্তি ও প্রলয়কালে সকলেই নিববীজ ব্রহ্মে লয় হয়, তবে সেই জ্ঞানদাহা বীজ আপন হইতেই লয় হইয়া যাইবে । এক্ষেত্রে তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিবার কোন আবশ্যকতা থাকে না । এই জন্য শ্রুতি যেখানে বলিতেছেন—প্রাণই সৎ ব্রহ্ম,সেখানে প্রাণকে সবাজ সৎ ব্রহ্মই বলা হইয়াছে ; প্রাণ নিগুণ ব্ৰহ্ম বা নিবীজ ব্রহ্ম নহেন। প্রাণকে সবীজ ব্রহ্ম বলা হয় বলিয়াই ইহার পরেও নিববীজ ব্রহ্মের কথা শ্রুতি বলেন। শ্রুতি বলেন–নিগুণ ব্ৰহ্ম “সন্ধান