বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাণ্ডুকেjiপাণবঙ্গ । જી , परतः परः” “स वाह्याभ्यन्तरी ह्यज:” “यतो वाचो निवर्त्तन्ते” “ললি লনি” অর্থাৎ তিনি পররূপ অক্ষর হইতেও পর ; বাহ অন্তর সহিত হইয়াও জন্মরহিত ; র্যাহাতে বাক্যসমূহ নিবৃত্ত হয় ; ধিনি কাৰ্য্যও নহেন, কারণও নহেন ; এই সমস্ত শ্রুতিতে সবীজ ব্রহ্মভাবের উপরেও যে নিববীজ ব্রহ্মভাব আছেন—সেই সবীজ ভাব অপনয়ন জন্য নিববীজ ভাবের উল্লেখ করা হইয়াছে। প্রাণ হইতেছেন সৎব্রহ্ম । ইনি সবীজ। ইনিই প্রাজ্ঞপুরুষ। ইনিই যখন তুরীয় অবস্থাতে গমন করেন, তখন ইনি দেহাদিসম্বন্ধরস্থিত এবং জাগ্রদাদি অবস্থা রহিত হয়েন। এই পারমর্থিক নিববীজ অবস্থাই তুরীয়াবস্থা। এই তুরয়ের কথা পরে বলা হইবে। মুমুকু। মা ! আর একবার বল মুবুপ্তিতে কি কিছু অনুভব হয় ? শ্রীতি। স্বযুপ্তিতে বীজাবস্থা পৰ্য্যন্ত লাভ হয়। কিন্তু স্থযুপ্তি হইতে উত্থিত পুরুষের মুখে শ্রবণ করা যায় “ল জিম্বিহুৰক্সিমিনি” অর্থাৎ আমি কিছুই বলিতে পারি নাই। এই যে স্মৃতি ইহাতে বুঝ যায়, লীজাবস্থাতেও আর কিছুই নাই ইহার অনুভব হইয়াছিল। কারণ যাহা কখন অনুভূত হয় নাই, তাহার স্মরণ হইতে পারে না। “ত্রিধাদেহে ব্যবস্থিত;" অর্থাৎ জীব তিন প্রকার দেহে অবস্থিত, ইহার কথা বলা হইল । মুমুক্ষু। বিশ্ব, তৈজস ও প্রাজ্ঞ এই তিনের- তিন প্রকারে দেহে স্থিতিৰ কথা বলা হইল। এখন এই তিনের তিন প্রকার ভোগ কিরূপ তাই বলুন । 'শ্রীতি। জাগ্রত অবস্থার অভিমানী বিশ্বপুরুষ নিতাই স্থলভোগের ভোক্ত ; স্বপ্নাবস্থাভিমানী তৈজস নিত্যই বাসনাময় সূক্ষাভোগের ভোক্তা, আর স্বযুপ্তি অবস্থার অভিমানী আনন্দের ভোক্তা। মুমুক্ষু। ভোগের পরেই ত তৃপ্তি আসিবে ? সেই তৃপ্তি এই পুরুঘের কিরূপ হয় ? તે