বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাণ্ডুকোপনিষদ। ሣ » এইগুলি বিশেষণ বটে কিন্তু সৎস্বরূপ, চিৎস্বরূপ ও আনন্দস্বরূপ, যিনি –তিনিই আপনি আপনি, নিগুণ, নির্বাজ ব্রহ্ম। মুমুক্ষু সগুণ ব্রহ্ম বা সবীজ ব্রহ্ম বা প্রাণপুরুষকেই অধিষ্ঠানচৈতন্য বলা হইতেছে। কোন কিছু উঠিলেই বলা হয়, মাহ উঠিতেছে তাহা স্বগুণ ত্রহ্মের উপরেই তাঁহারই আত্মমায়া দ্বারা উঠিতেছে। কোন কিছু আশ্রয় না পাইলে এই জগৎটা উঠিতেই পারে না । অধিষ্ঠানচৈতন্যকে আশ্রয় করিয়া,জগৎটা উঠে বলিয়াই বলা হয়- ইহার বিদ্যমীনতা আছে। “যথা রঞ্জাং প্রাক সপোৎপত্তেঃ রজ্জ্বাত্মনা সৰ্পঃ সন্নেবা সৎ এবং সৰ্ব্বাভালানামুংপত্তেঃ প্রাক প্রাণবজাত্মনৈব সত্ত্বমিতি” । রচ্ছতে সৰ্পোৎপত্তি হইল। কিন্তু ইহার পূর্বে সর্প কোথায় ছিল ? ছিলনা। যদি বল ছিল, তবে বলিতে হইবে সর্পট রক্ষুরূপেই ছিল। তবে সর্পটাকে যে সৎ বল সেটা সপকে রজুরূপেই সৎ এইরূপ বলা হয় মাত্র। এইরূপে সমস্ত জন্য পদার্থের উৎপত্তির পুৰ্ব্বে উহার সবীজ প্রাণরূপে সত্তাবান ছিল বলিতে পারা যায় ; নিববীজ ব্রহ্মরূপে ছিল বলা যায় না। এই যে বলা হয়—জগৎটা সবীজ প্রাণ ব্রহ্মরূপে ছিল ইহার অর্থ কি ? “সন্তামাত্রাত্মকং বিশ্বং” প্রাণব্ৰহ্ম সত্তাকে আশ্রয় করিয়া এই বিশ্বট উঠে। যেমন পটকে অবলম্বন করিয়া ছবি ভাসে সেইরূপ । ছবিগুলি মায়িক কল্পনা মাত্র। এই জগৎও সেইরূপ মায়ার কল্পনা মাত্র। অধিষ্ঠানচৈতন্যে এই মায়া বা আত্মশক্তি থাকে— ইনিই সগুণ ব্রহ্ম বা সবীজ প্রাণ। এখন বলুন এই জগৎটা তবে কি ? শ্রুতি। অসৎ হইতে এই জগতের উৎপত্তি হয় নাই। সৎ হইতেই হইয়াছে পূর্বে বলিলাম। সৎ ব্রহ্মের আত্মশক্তিই ਸੀ । মায়া দ্বারাই এই জগৎ ব্রহ্মে কল্পিত অর্থাৎ মায়াই আপনার আবরণ শক্তি দ্বার ব্রহ্মকেই জগৎরূপে দেখাইয়া থাকেন। রজ্জ্বসপদিীনাং অবিদ্যাকৃত মায়াবীজোৎপন্নানাং রজ্জাদাত্মন সক্ষম। বহুকেই যে সপ রূপে দেখা যায় ইহা মায়াই রজ্জ্বসত্তা অবলম্বন করিয়া উহাকেই সপরিপে দেখায়। তবেই বুঝ এই বিচিত্র পরিদৃশ্যমান জগৎটা কি ?