বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ፃ: মাতৃকোপনিষদ। মুমুক্ষ। জগৎটা তবে কি নাই ? সপটা ত নাই। শ্রুতি। নু নাই। ব্ৰহ্মই নামরূপাত্মক জগৎরুপে ভাসেন মাত্র। রহ্মের আত্মশক্তি যে মায়া সেই ক্ষার উপরে উহা ভাসাইতে পারেন। যেমন তরঙ্গ যাহা, তাহ সমুদ্রই বটে কেবল উহা স্থির জল না হইয়। যেমন চঞ্চল জল সেইরূপ ব্রহ্মই এই জগৎ অথচ ব্রহ্ম যিনি তিনি চলনরহিত আর জগৎ যাহা তাহ গতিশীল, তাহ সদা চঞ্চল । জগৎটা কি বুঝিতে হইলে এই দুইটি দৃষ্টান্ত সর্বদা মনে রাখিও । (১) জুলই তরঙ্গরূপে দেখা যায় (২) রজ্জ্বই_সপক্লপে ভাসে। তরঙ্গ_ যেমন জল ভিন্ন অঙ্গ কিছুই নহে_অথবা সৰ্প যেমন রক্স ভিন্ন অন্য কিছুই নহে=সেইরূপ জগৎটাও ব্রহ্ম ভিন্ন অঙ্গ কিছুই নহে। তরঙ্গট হ_তাহ_জল_হইলেs_ঐ_যে চঞ্চল ভাবে তরঙ্গকে দেখা যায় ; সৰ্পট রজু_হইলেও ঐ যে সর্পভাবে রজ্জটাকে দেখা হইয়া যায় মায়ার একটি শক্তির_নাম_আবরণ শক্তি _এই আবরণশক্তি দ্বার ভিতরে যিনি দ্রষ্ট তিনিই দৃশ্বরূপে প্রতীয়মান হয়েন। এই আবরণশক্তি দ্বারাই অধিষ্ঠানচৈতন্যস্বরূপ একীভূত ব্ৰহ্মই বিচিত্র স্বপ্তিরূপে প্রতীয়মান হয়েন। আবরণ শক্তি দ্রষ্টা ও দৃশ্যের ভেদটিকে অথবা এক ও বহুর ভেদকে আবরণ করিয়া ফেলে। যিনি মিথ্য নামরূপ বিশিষ্ট মায়া বিলাসকে ব্রহ্ম হইতে পৃথক দেখিতে পারেন, যিনি সর্বদা একরূপ দ্রষ্টাকে দৃশ্য মনোভাব হইতে অথবা দৃষ্টবস্তু হইতে পৃথক দেখিতে পারেন তিনি বহু আর দেখেন না, একই দেখেন। তরঙ্গ দেখিতে দেখিতে যিনি তরঙ্গের অভাব ভাবনা করিতে পারেন, যিনি সাধনা দ্বারা অধিষ্ঠানচৈতন্যরূপ স্থির জল সর্বদা দেখিতে অভ্যাস করেন তিনিই তরঙ্গ দেখিয়াও দেখেন না । আমরা রাগকেও জানি, রাগের অভাবকেও জানি। রাগ হইবার সময় রাগের অভাবকে যদি চিন্তা করিতে অভ্যাস করি, তবে রাগ থাকে না । সেইরূপ কৰ্ম্মকালে কৰ্ম্মের অভাবকে যিনি চিন্তা করিতে অভ্যাস করেন, তিনি কৰ্ম্ম ।