বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধুক্যোপনিষদ। brማ অদ্বিতীয় যিনি তাহার কোন সামান্য বিশেষ ভাব নাই। আর পাচকদির স্যায় ই হাতে কোন ক্রিয়াবাৰূপণাও নাই। কারণ ইনি অক্রিয়। আবার নীল পীত ঘটাদির মত ই হাতে কোন গুণবান্পণাও নাই কারণ ইনি নিগুণ। সেই জন্যই বলা হইল নিষেধমুখেই তুরয়ের প্রতিপাদন, বিধিমুখে নহে। এইজন্য বলা হইতেছে শব্দের দ্বারা তাহাকে নির্দেশ করা যায় না । মুমুক্ষু। এমন আত্মকে জানিয়া লাভ কি ? কোন কিছু দিয়াই ত ইহাকে ধরা ছোয়া যায় না । শ্রুতি। প্রয়োজন আছে। রঞ্জর জ্ঞান হইলে যেমন সর্পভ্রম দূর হয়, সেইরূপ এই তুরীয় আত্মার জ্ঞান হইলে তবে এই অজ্ঞানকৃত স্থষ্টি স্থিতি ভঙ্গ ভ্রম দূর হয়। ভ্রম ভাঙ্গিবার আর অন্য পথ নাই। আত্মাকে ন জানা পৰ্য্যন্ত অনাত্মবিষয়ক তৃষ্ণ কিছুতেই যাইবে না। মুমুক্ষু। তুরীয়কে আত্মারূপে জানার কি কোন প্রতিবন্ধক আছে ? শ্রীতি। কোন প্রতিবন্ধক নাই। এই আত্মাকে জানিবার জন্যই *ठि १छ् ऊँश्रभि कद्विंउंछ्न। तत्त्वमसि, श्रयमात्मा ब्रह्म, तत् मल्यम्, म श्रात्मा, यत् साचादपरोश्चाद्ब्रह्म, स वाह्याभ्यन्तरो ह्यजः, श्रात्मेवेदं স্বল্পম ইত্যাদি। সেই তুমি, এই আত্মাই ব্রহ্ম, তিনিই সত্য, সেই আত্মা যিনি সাক্ষাৎ প্রত্যক্ষ স্বরূপ ব্রহ্ম, বাহিরে ভিতরে যিনি জন্ম রহিত, আত্মাই এই সমস্ত। এই সমস্ত দিয়া শ্রুতি ইহারই কথা বলিতেছেন। মুমুক্ষু। তুরীয় যিনি তিনিই আত্মা। তুরীয়কে জানাই তবে আত্মজ্ঞান। এই আত্মজ্ঞান কিরূপে হইবে ? শ্রুতি বলিতেছেন এই যে জগৎটা দেখা যাইতেছে ইহা রজুকে যেমন ভ্ৰমজ্ঞানে সপমত দেখা হইয়া যায় সেই ভাবেই ব্রহ্মকেই এই জগৎরূপে দেখা হইতেছে। এই জগৎটা আবার সব সময়ে একরূপে দেখা হয় না । জাগ্রৎকালে ইহাকে স্থং জগৎরুপে দর্শন করা যায় স্বপ্নে ইহাকে সূক্ষ বাসনারূপে স্মরণ করা যায় আবার স্বযুপ্তিতে দর্শন ও স্মরণ শূন্য একভাবে অর্থাৎ জগৎ নাই আমিই আছি এইরূপ অনুভব হয়।