বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v切 মাতৃকোপনিষদ। আবার বলি তুরীয় যিনি তিনিই আত্মা। এই আত্মাকে জানাই জ্ঞান। তুরীয় আত্মা কিন্তু জাগ্রৎ কালের বিশ্ব পুরুষ নহেন, স্বপ্নের তৈজস পুরুষ নহেন, এই দুয়ের, সন্ধিরূপও নহেন, ইনি সুপ্ত পুরুষও নহেন ; ইনি সর্বজ্ঞও নহেন ইনি অচেতনও নহেন ; যদি এইরূপই হইল তবে আত্মজ্ঞান হইবে কিরূপে ? ব্রহ্মে এই জগৎ ভ্রম দূর হইবে কিরূপে ? রজ্জ্বকে আর সর্পজ্ঞান করা যাইবে না কিরূপে ? এ কথা আবার বলিতে হইবে। t শ্রুতি। রজ্জ্বকে রজুভাবে জানাই রঙ্গুর স্বরূপ জ্ঞান। কিন্তু রজুকে সৰ্প কল্পনা করা হইয়া গিয়াছে । এই সৰ্প কল্পনার নিষেধ দ্বারাই রজ্জ্বর স্বরূপ জানা যাইবে । আত্মাকে যে বিশ্বপুরুষ, তৈজস পুরুষ ও স্থপ্ত পুরুষরূপে দেখা হইয়াছে তাহা কল্পনা মাত্র । কল্পনাতে যাহাকে ঐ অবস্থাত্রয় বিশিষ্টরূপে দেখা হইতেছিল—ঐ অবস্থাত্রয়ের নিষেধ দ্বারাই তাহাকে তুরীয় ভাবে দেখা যায়। কল্পনা নিষেধে তুরীয় ভাব প্রতিপাদন করাই শ্রুতির অভিপ্রায়। কিন্তু তুরীয় যিনি তিনি যদি ঐ অবস্থাত্রয় বিশিষ্ট আত্মা হইতে পৃথক কিছু হইতেন তাহা হইলে আত্মজ্ঞান হইতেই পারিত না। স্বরূপটি হইতেছে চৈতন্য । সেই চৈতন্য অংশে সকল অবস্থ বিশিষ্ট আত্মা একই। : রস্তু যেমন সপাদিরূপে কল্পিত হয় সেইরূপ অধিষ্ঠান চৈতন্যই। অন্তঃপ্রজ্ঞাদিরূপে কল্পিত। যে সময়ে এই কল্পিত অবস্থাত্রয়ের নিষেধ হয় সেই সময়েই আত্মাতে আরোপিত অনর্থরাশির নিবৃত্তিরূপ জ্ঞান ফল প্রাপ্ত হওয়া যায়। এই জন্য আত্মজ্ঞানের নিমিত্ত কোন পৃথক, প্রমাণের আবশ্যক হয় না। যেমন সর্পভ্রান্তি নিবারণ জন্য রজ্জ্বর জ্ঞান ও সপের জ্ঞান আবশ্যক অর্থাৎ সপজ্ঞানটা কল্পনা বলিয়া মিথ্যা আর রজ্জ্বজ্ঞানটিই সত্য সমকালে এই দুইই চাই সেইরূপ জগৎ মিথ্য ও ব্রহ্ম সত্য সমকালে এই দুয়ের অভ্যাসেই কল্পনাক্ষয় হয়। আত্মজ্ঞান কিরূপে হইবে ইহার উত্তর তবে এই হইল যে আত্মাতে