বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• মাধুক্ষ্যোপনিষদ। ፳ፃ মুমুক্ষু । জীব আপনস্বরূপ আত্মাকে কিরূপ জানিবেন ? শ্রুতি। জীব জানিবেন যে আত্মার বাহ অন্তর বা কাৰ্য্য কারণ কিছুই নাই, জন্মাদি ষড় ভাব বিকারও নাই এজন্য ইনি অজন্ম অর্থাৎ আত্মার বাহ অন্তর এবং ভিতর বাহিরেৰ ধৰ্ম্মাদি কিছুই নাই। আরও বোধ হইবে যে, আত্ম সম্বন্ধে জন্মাদির কারণরূপ অবিদ্য বা অজ্ঞান স্বরূপ বীজময় নিদ্রা বলিয়া কিছুই নাই ; এজন্য ইনি অনিদ্র অর্থাৎ ইনি সৰ্ব্বদা বোধস্বরূপ। আবার যে নিমিত্ত আত্মা তুরীয় অনিদ্র এবং স্বরূপের অবোধরহিত, সেই নিমিত্তই তিনি অস্বপ্ন কারণ অন্যথাগ্রহণরূপ যে স্বপ্ন, সেটার উৎপত্তির কারণ হইতেছে স্বরূপের অবোধরূপ নিদ্রা । এই নিদ্রা তুরীয় আত্মাতে কখনই নাই, এজন্য তন্নিমিত্তক ঐ স্বপ্নও তাঁহাতে নাই। এই আত্মা অনিদ্র বলিয়৷ যেমন অস্বপ্ন, সেইরূপ অজন্ম ও অদ্বৈত। স্বরূপে জাগ্রত হইলে তুরীয় আত্মাকে এইভাবে জানা হয়। প্রপঞ্চের নিবৃত্তি কিরূপে হইবে যদি জিজ্ঞাসা কর তাহার উত্তরে বলি—যদি পরমার্থ বিষয়ে সত্য সত্যই প্রপঞ্চ বিদ্যমান থাকে তাহ হইলে প্রপঞ্চের নিবৃত্তি এবং অদ্বৈতের সিদ্ধি হইতেই পারে না। কিন্তু রঙ্গুতে সৰ্প যেমন কল্পিত সেই ভাবে পরম-আত্মাতে প্রপঞ্চ কল্পিত মাত্র ; এজন্য সেখানে প্রপঞ্চ নাই, এই জন্য অদ্বৈতই সিদ্ধ। প্রপঞ্চে যদি বিষ্ঠেত নিবৰ্ত্তেত ন সংশয়ঃ। প্রপঞ্চ যদি বিদ্যমান থাকে তবে নিবৃত্তও হইবে এ বিষয়ে সংশয় নাই অর্থাৎ প্রপঞ্চ যদি স্বরূপ হইতে ভিন্ন হইয়াও বিদ্যমান থাকে তবে তাহার নিবৃত্তি নিশ্চয়ই হইবে। রজুতে ভ্রান্তিবুদ্ধি দ্বারা কল্পিত যে সৰ্প তাহা বিদ্যমান দেখা গেলেও, বিচার বা সম্যক দর্শন দ্বারা তাহার নিবৃত্তি হয় ইহাতে জানা গেল যে সর্পট বাস্তবিক নাই। রঙ্গুতে যেমন সৰ্প কল্পিত, সেইরূপ আত্মাতে প্রপঞ্চ কল্পিত। রজ্জ্বতে আশ্রিত যে অবিদ্যা তাহা দ্বারাই ভ্রম সৰ্প কল্পনা । সেইরূপ আত্মাতে জড়িত যে অজ্ঞান [ অস্তির সহিত যে নাস্তিভাব জড়িত ] সেই অজ্ঞানেই প্রপঞ্চকে সত্যবোধ করায়। ফলে যেখানে জ্ঞান সেখানে