পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*०8 মাও কোপনিষদ | “ত্রিক। এই অমাত্রিক ও কারে স্থিতিলাভ করা বা পরম পদে স্থিতি লাভ করা ইহা সকল সাধনার শেষ ফল। এখন বুঝিতে চেষ্টা কর অকারের সাহায্যে ও কার-উপাসনা কিরূপে করিতে হয় এবং ইহা করিলেই বা কি লাভ লয় ? মুমুক্ষু। লাভের কথা ত পূর্বেই বলিয়াছেন এবং তাহ ধারণ করিয়াছি এখন সাধনার কথা বলুন। ’ শ্রীতি। স্থূলভাবে বলিতে গেলে অকার অবলম্বনে ও কারের উপাসনা হইতেছে স্থল ভোগ দিয়া শ্ৰীভগবানের অর্চনা । ভোগ নিজে করিও না ; ভোগ যাহা কিছু তাহা তাহার পূজার জন্য সংগ্রহ কর । “পূজা তে বিষয়োপভোগরচনা” ইহাই অভ্যাস কর। ইন্দ্রিয় দ্বার যাহা কিছু দেখিতেছ, শুনিতেছ, করিত্তেছ সেই সকলে শ্ৰীভগবানকে স্মরণ করিতে করিতে ভাবন কর, যাহা দেখি যাহা শুনি যাহা করি তাহ তুমিই করিতেছ। অথবা সর্বাশ্রয় তুমি, সকলের অধিষ্ঠান তুমি, তোমাকে লইয়া তোমার প্রকৃতি তোমার বক্ষে খেলা করিতেছে। যেমন সাগরের বক্ষে তরঙ্গমালা খেলা করে ভাঙ্গে ভাসে সেইরূপে তোমারই বক্ষে তুমিই প্রকৃতি সাজিয়া খেলিতেছ। তরঙ্গ যেমন জল ভিন্ন অন্য কিছুই নহে—আর এই চঞ্চলতার সাহায্যেই যেমন সাগর তরঙ্গ হইয়া খেলা করে সেইরূপ এই পরিদৃশ্যমান জগৎ তু ম ভিন্ন অন্য কিছুই নহে। তুমি এক কিন্তু জগতের যে বহুরূপ, বহুনাম বহুভাব, এটা তুমি তোমার মায়াকে আশ্রয় করিয়াই দেখাইতেছ। আমি বলিয়া যাহা কিছু তাহ সত্য হউক বা মিথ্য হউক ইহার কৰ্ম্ম হইতেছে সমস্ত ভোগ দিয়া তোমার সেবা । যে ব্যক্তি নিজে কোন কিছু ভোগ করিয়া সুখী হইতে বাসনা করেন না কিন্তু জগতের সকল জীব সকল প্রকার ভোগ পাইয়া যেন সেই ভোগ নিজে ভোগ ন করিয়া সেই ভোগ দ্বারা তোমার সেবা করিতে শিক্ষাপায় বা অর্চনা করিতে শিখে জগতকে এই উপদেশ যে ব্যক্তি করেন সেই ব্যক্তি আকারের সাহায্যে ও কারের উপাসনা করেন। যদি কোন দরিদ্র সাধক