বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| a আত্মাই দ্রষ্টা । আত্মাকে দর্শন করিবে কে ? যিনি ভিন্ন অন্য কেহ দ্রষ্টা নাই তাহার দর্শন করে কে ? আরও যদি একটু তত্ত্বের মধ্যে প্রবেশ কর, তবে দেখিবে চেতনই একমাত্র বস্তু। সমস্তই চেতন । ইহা ভিন্ন দ্বিতীয় বস্তু নাই । . यत्र हि ई तमिव भवति -यत्र वा श्रन्यदिव स्यात् तत्रान्योऽन्चत् ण खेदन्योऽन्यदुविजानीयत् । यश्च लवस्य सन्वंसात्म वामूत् तत् केन्द्रः ব্ধ ধৰ্ম্ম ন ন দীর রূ বিজনীযান ? যেখানে দুই মত হয়, যেখানে অনায়ামত কিছু হয় —সেখানেই অন্য অন্যকে দেখে, অন্য অন্তকে জানেন কিন্তু যেখানে সমস্তই আত্মা হইয়া যায় তখন কাহা দ্বারা কাহাকে দেখা যাইবে ? কাহা দ্বারা কাহাকে জানা যাইবে ? তত্ত্বের মধ্য দিয় যাইতে পারিলে যাহ হয়, শ্রুতি তাহাই বললেন । কিন্তু তত্ত্ব বস্তুটি ত অনেকের বুদ্ধিতে প্রবেশ করেন। ইহাদের জন্য সহজ করিয়া বলিতে হইলে । তাহাই বলিতেছি শ্রবণ কর । দেখ চক্ষু দ্বারা আমরা সমস্ত দর্শন করি । কিন্তু চক্ষুকে দর্শন করা যায় কিরূপে ? অথবা আরও একটু সূক্ষে কথাটা আলোচনা কর সাউক। চক্ষুগোলকে এক পুরুষ থাকেন। মনে করা হউক তিনিই দ্রষ্ট, তিনিই চেতন পুরুষ, তিনিই আগ । এখন এই পুরুষকে দেখ যাইবে কিরূপে ? চক্ষুকে বা চক্ষুগোলোকস্থ পুরুষকে দেখা যায় দুই প্রকারে । (১) দৰ্পণ অবলম্বনে দেখা যায় । (২) অন্য লোকে তোমার চক্ষুগোলকে পুরুষ দেখিয়া যখন বলে “এই ত, ন দেখিতেছ” তখন তাহার কথা শুনিয়া বিশ্বাস করি। করিয়৷ তুমিও অন্তের চক্ষে এইরূপ পুরুষ দেখিয়া বিশ্বাস কর— তোমারও চক্ষে এইরূপ পুরুষ আছেন। - তবেই দেখ আত্মাকে দেখিতে হইলে দপণের মত একটি অবলম্বন চাই অথবা যিনি দেখিয়াছেন তাহার কথায় বিশ্বাস করিয়া বিশ্বাস করা চাই, তবে আত্মাকে দেখা যায় ।