পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২ ] ব্রহ্মবিষ্ঠে ! গ্রন্থপাঠে প্রবৃত্ত আমার বাক্য যেন মনে প্রতিষ্ঠিত থাকে, মনও যেন আমার বাক্যে প্রতিষ্ঠিত থাকে। হে আবিঃ ! হে স্বপ্রকাশ ব্ৰহ্মচৈতন্য ! তুমি আবিভূত হও । হে বাক্য ! হে মন! তোমরা আমার জন্য বেদকে আনয়ন করিতে সমর্থ হও । আমার শ্রুত গ্রন্থ ও তদৰ্থজাত যেন কখনও আমাকে ত্যাগ না করেন। আমি অহোরাত্রকে বিস্মরণরহিত অধীত গ্রন্থের আলোচনাতে নিযুক্ত রাখিব । বেদ এইরূপে অধীত হইলে তবে আমি ঋতের মননে ও সত্যের কথনে সমর্থ হইব। মাতঃ শ্ৰব্রহ্মবিছো ! তুমি আমাকে বোধশক্তি প্রদান করিয়া রক্ষা কর, অামার আচাৰ্য্যকে শিষ্যবোধনশক্তি দিয়া রক্ষা কর । আবার বলি, হে মাতঃ ব্রহ্মবিষ্ঠে । তামাকে রক্ষা কর। আমার আচাৰ্য্যকে রক্ষা কর । ত্ৰিবিধ দুঃখের শান্তি হউক । মুমুকু। প্রথমেই শান্তিপাঠ করিতে হয় কেন ? শ্রুতি। তত্ত্ববিদ্যা উৎপত্তির পূর্বে বিদ্যাপ্রতিবন্ধক বিস্তুসমূহ এই মন্ত্রপাঠে নিবারিত হয়। তত্ত্ববিদ্য উৎপত্তির পরেও অসম্ভাবনা ও বিপরীত ভাবনা জাত বিঘ্ন সমূহও এই মন্ত্রপাঠে দূর হয়। যাহা শুনিতেছি তাহ অসম্ভব—এইরূপ সংশয়ের নাম অসম্ভাবনা; ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে গুরুমুখে এবং শাস্ত্রমুখে যাহা শুনিতেছি তাহা না হইয় আমি যাহা নিশ্চয় করিতেছি তাহাই হইবে—এইরূপ ভাবনার নাম বিপরীত ভাবনা । গুরুমুখে যাহা শ্রত হইল, তাহার মৰ্ম্ম ধারণ করিতে না পারা ; মৰ্ম্ম শ্রবণকালে চিত্তের লয় ও বিক্ষেপ এইগুলি যেমন ব্রহ্মবিদ্যা উৎপত্তি সময়ের বিপ্ন, সেইরূপ শ্রবণের পরেও যাহা শুনিলাম তাহার বিপরীতটি ঠিক--এইরূপ ভাবনা শেষকালের বিস্তু। শান্তিপীঠ মন্ত্র এই দ্বিবিধ বিঘ্ন নিবারণ জন্য শ্রত্যাদি শাস্ত্রে নির্দিষ্ট এবং গুরুপরম্পরাগত । মুমুকু। শান্তিপীঠ মন্ত্রে এই বিপ্ন কিরূপে নিবারিত হয় ? শ্রুতি। গুরু ও শাস্ত্র মুখাগত বাক্য ও তদৰ্থ যদি মনে প্রতিষ্ঠিত কয় -যদি মনে রহিয়া মায়, সদি গীর ভুল না হয় এবং মন মুদি ঐ ঐ