দেখিতে হইলে যেমন দর্পণ অবলম্বন করিতে হয় সেইরূপ যে আত্মাই একমাত্র সকলের জ্ঞাত তাহাকে জানিতে হইলে একটি অবলম্বন চাই ; তাই শ্রুতি বলিতেছেন ওঁ-কারই আত্মজ্ঞান লাভের প্রধান অবলম্বন । শ্রুতিবাক্যের যে শব্দ প্রমাণ এখানে তাহাই দেখান হইতেছে। হনহাलम्बर्न श्रेष्ठम् । 2छि श्रगोश्न बज्ञिाङएश्न “एतद्दे सत्धकामपरञ्चा परश्च व्रश्च यद्दोङ्कारः । तस्मादृविद्दानेतेनैवायतननेकतरमन्वति । *श्रोमित्वात्मानं युचीत्” । “बोमिति त्रझ” “श्रीङ्कारमेवेद सर्वेम्” হে সত্যকাম । এই যে পরব্রহ্ম ও অপরব্রহ্ম ইহাই ওঙ্কার সেইজন্য বিদ্বান এই ওঙ্কার সাধন দ্বারা উভয়ের মধ্যে এককেই প্রাপ্ত হয়েন। আবার বলেন আত্মাকে ওম ইত্যাকারে চিন্তা করিবে। শ্রুতি পুনরায় বলেন ওঙ্কারই ব্রহ্ম ; ওঙ্কারই এই সমস্ত । শ্রীতির প্রথম মন্ত্রের ব্যাখ্যাতে ইহা বিশেষ করিয়া বলা যাইবে এখানে এই মাত্র জানিয়া রাখ সে রজ্জ্ব সম্বন্ধে যে অজ্ঞান সেই অজ্ঞান হইতে কল্পিত যে সর্প নামটি ও সপর্যুপটি ঐ কল্পিত নাম ও রূপ রজুর জ্ঞান হইলে যেমন অসং বলিয়া মিথ্যা হইয়া যায়, সেইরূপ আত্মা সম্বন্ধে ষে অজ্ঞান সেই অজ্ঞান হইতে কল্পিত নাম ও রূপ লইয়া যে জগৎ দাড়াইয়া আছে দেখা যায় তাহ সম্পূর্ণ মিথ্যা তখন বুঝা যায় যখন অস্তি ভাতি প্রিয়ক্লপ আত্মাকে ওঁকার অবলম্বনে শ্রবণ মনন নিদিধ্যাসন রূপ সাধন করা যায়। অদ্বৈত আত্মার উপরেই প্রাণাদি কল্পনার বিষয়ীভূত সমস্ত বাকু প্রপঞ্চ—সমস্ত শব্দরাশি ভাসিয়াছে ! ও কারকে ভাব ব্রহ্ম ও শব্দ ব্ৰহ্ম বলা হয়। শব্দের সহিত যেমন অর্থ জড়িত সেইরূপ শব্দব্ৰহ্ম রূপ অপর ব্রহ্মের সহিত অর্থ–ব্রহ্ম রূপ পরব্রহ্ম জড়িত। নাম ও নামীর অভেদত্ব বুঝিতে পারিলেই ও কারের সহিত আত্মার একতা বুঝা যাইবে। শব্দমাত্রই ওঁ-কার-বিকার। শব্দ হইতেই এই জগৎ উৎপন্ন হইয়াছে। এই জন্য শব্দ ব্ৰহ্ম রূপী ওঙ্কারই এই সমস্ত বলা ছইয়াছে পরে এই সমস্ত তত্ত্ব বিশদরূপে বলা হইবে ।
