বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( egഴ്: ) শ্রীতি। “ন ক্ষরতি ন চলতি ইতি অক্ষরং স্বর উচ্যতে" অক্ষরকে স্বর বলা যায়। যাহার ক্ষয় হয়না, যাহা ফুরাইয়া যায়ন এবং যাহার চলনও হয় না তাহাই অক্ষর স্বর-শব্দ । ইহার সহিত জগতের কি সম্বন্ধ পরে বলা হইতেছে। এখন ওঁ ইহাই এই পরিদৃশ্যমান জগৎ ইহার অর্থ কি তাহাই ধারণ কর। এই শ্রুতিই পরশ্লোকে বলিতে ছেন এই পরিদৃশ্যমান যাহা কিছু তাহ ব্ৰহ্মই। এই আত্মা—যাহ সকলেই অনুভব করে তাহাও ব্রহ্ম। মল বন্ধনিৰ্ব লয় এই শ্রীতিবাক্যে এরূপ বুঝিও না যে চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয়-গোচর এই পরিদৃশ্যমান জগ ই সেই সকল ইন্দ্রিয়ের অগোচর, মনের অগোচর, বাক্যের অগে|চর ব্রহ্ম বস্তু । ইন্দ্রিয়গোচর জড় বস্তুর সহিত সেই অতীন্দ্রিয় ব্রহ্মের বা আত্মার বা চেতনের কোন সাদৃশ্য নাই। তথাপি যে বলা হইতেছে এই সমস্তই ব্রহ্ম তাহা কেন বলা হইতেছে লক্ষ্য কর। রজ্জ্বর বিবৰ্ত্ত যেমন সপ ব্রহ্মের বিবৰ্ত্তও সেইরূপ এই জগৎ | রজ্জ্বকে না জানা বশতঃ সেই অজ্ঞানে যেমন ইহাকে সপ বলিয়া বোধ হয় সেইরূপ আত্মাকে না জানা জ্য-ব্রহ্মকে না জানা জন্য ব্রহ্মকেই জগৎরাপে প্রতীয়মান হইতেছে। দৃস্টাস্তের সকল অংশে সাদৃশ্ব গ্রহণ করিও না। বলিও না। পূর্বে সপজান ছিল সেইজন্য রজ্জ্বকে সপ বলিয়া বোধ জন্মতে পারে কিন্তু জগৎ বলিয়া পূর্বে কিছুই জানা নাই তথাপি ব্রহ্মকে জগৎ বলা হয় কেন ? রজ্জ্বও পূর্বে জানা ছিল, সপও জানা ছিল –সেইজন্য একটিতে আর একটির অধ্যাস হইতে পারে ইহা স্থল কথা। কিন্তু ব্ৰহ্মকেও তুমি জান না তথাপি রজুদপের দৃষ্টান্ত দাও কেন ? সেইজন্য বলিতেছি সর্বাংশে সাদৃশ্ব গ্রহণ করা দৃষ্টাস্তের উদ্দেশ্য নহে। দৃষ্টান্ত দ্বারা অধ্যাসটি মাত্র বুঝিতে বলা হইতেছে। এই যে জগৎটা দেখা যাইতেছে এটা স্বরূপে অন্য একটি ইন্দ্রিয়ের অগোচর, জ্ঞান-স্বরূপ কিছু। সেইটি স্থূল সূক্ষম কাৰণ জগৎরূপে দেখা য ইতেছে। যেমন মরীচিকাকে জল বলিয়া ভ্রম হয় ইহাও সেইরূপ ভ্ৰমে দেখা যাইতেছে। অজ্ঞানেই জগৎ দেখা হয় জ্ঞানে ইহা নাই।