বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8ટે ] পরে স্থলাবস্থায় বিবৰ্ত্তিত হইতেছেন। ওঁকারের তুরীয় বা সাক্ষী অবস্থাটিকে বলা হয় পরব্রহ্ম আর বীজ, সূক্ষ ও স্থূল অবস্থা সমূহকে বলে অপরব্রহ্ম। এই সমস্ত অবস্থাকেই বলা হয় তুরীয়, স্বযুপ্ত, স্বপ্ন ও জাগ্রত অবস্থা। ইহাদিগকে লক্ষ্য করিয়াই পরা পশ্যন্তি মধ্যম ও বৈখর এই চারি অবস্থার কথাও বলা হয়। কৃপাময়ি ! এখন বলুন ওঙ্কার নামক অক্ষরই যখন এই সমস্ত তখন ঞ্জকারকে অক্ষর বলিতেছেন কেন ? অক্ষরের সহিত এই পরিদৃশ্যমান জগতের সম্বন্ধ কি ? শ্রুতি। বাবা ! বুঝিতেছ ত স্বরূপে ওঁ-ই ব্রহ্ম। মামিনি স্নায় ইতি শ্রুতিঃ । স্মৃতিও (গীতাও ) বলেন “ওমিত্যেকাক্ষরং - ব্রহ্ম" ৮১৩। ওঁ এই একাক্ষর ব্রহ্ম ইনিই পরব্রহ্ম। কিন্তু তটস্থে ইনিই জগৎরাপে বিবর্তৃিত । অক্ষর কেন ও অক্ষরের সহিত জগতের সম্বন্ধ কি বলিতেছি শ্রবণ কর । মুমুক্ষু। বলুন। শ্রীতি । অক্ষরগুলিকে বণও বলে । অক্ষর বা বর্ণ গুলি আত্মশক্তির পর,পশ্বাস্তী,মধ্যমার পরে স্ফুট বৈপরী মূৰ্ত্তি । শক্তি যাহা তাছ অব্যক্ত । এই শক্তি অভিব্যক্ত হইবার কালে দেহ যন্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে ঘাত প্রতিঘাত পাইয় যে তাকার প্রাপ্ত তাহাই অক্ষর বা বর্ণ। পরব্রহ্ম সৰ্ব্বশক্তিমান । শক্তি ও শক্তিমান এক হইয়া যখন পরম শান্ত চলন রহিত অৱস্থায় থাকেন তখন স্বঃি নাই। পরে স্বঃি সময়ে মণির ঝলকের মত পরব্রহ্মে স্বাভাবিক অতি সূক্ষ যে স্পন্দন উঠে—সেই সম্পন্দন প্রথমেই ওঁকারের আকারে লক্ষিত হয়। পরমব্রহ্মের সঙ্কল্প বিকল্পময় এই স্পন্দ শক্তিই মায়া । এই মায়া ব্রহ্মকে যত যত রূপে বিবর্তিত করেন, তত তত প্রকার শব্দ উৎপন্ন হয় । এই শব্দ রাশি অনন্ত। স্পন্দ শক্তির স্থূল সূক্ষ বা বীজ অবস্থায় গত গতিতে অক্ষর উৎপন্ন হয়। অক্ষরও শব্দ মাত্র শব্দ গুলি অক্ষর সমীক্ষায় বা বর্ণ সংহতি বাক; ইহার অর্থ জানিতে হইলে অক্ষর বা বর্ণ গুলির জ্ঞান হওয়া চাই । অক্ষরের জ্ঞান হইলে বুঝিতে পারা যায়--পরম লোমে স্পন্দ শক্তির