পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ e8ग्न ] না। যিনি সমষ্টি পুরুষ তাঁহারই ভাবনা হয়। জগতের সমস্ত প্রাণী, সেই বিরাট পুরুষের অন্তর্গত। যে প্রাণী যে ভাবেই কেন থাক না,— কেহ জাগ্রত, কেহ নিদ্রিত, কেহ গমন, কেহ উপবেশন যে যে ভাবেই কেননা থাকু—তাহাতে সমষ্টি পুরুষের ভাবনা না হইবে কেন ? এক একটি প্রাণা যোগ করিয়া সমষ্টি পুরুষ নহেন, কিন্তু সমষ্টি পুরুষের মধ্যে সমস্ত প্রাণী নানা অবস্থায় রহিয়াছে। যেমন একজন মনুষ্যের মধ্যে যে রক্ত আছে তাহাতে কোটি কোটি জীব অবস্থান করিতেছে,— এমন কি এক বিন্দু রক্তে কোটি কোটি জীব রহিয়াছে,—সেই সমস্ত জীবের দেহে যে রক্তবিন্দু তন্মধ্যে অনন্ত জীব,—তাহাদের রক্তে আবার জীব—এইরূপে জীবের সংখ্যা হয় ন—এই সমস্ত জীব, আরও কত বৃহৎ ক্ষুদ্র প্রাণী এক মনুষ্য দেহে অবস্থান করিতেছে-- ইহাদের মধ্যে কেহ বিশ্রাম করিতেছে, কেহ ক্রীড়া করিতেছে, কেহ তাহার করিতেছে, কেহ নিদ্রা যাইতেছে,–এরূপ হইলেও এই সমস্ত ক্ষুদ্র জীবের পক্ষে মনুষ্যদেহটি যেমন বিরাট পুরুষ—সেইরূপ মনুষ্য, পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ, বৃক্ষ, লতা, জল, বায়ু, অগ্নি, আকাশ, পৃথী, মন, বুদ্ধি, সমস্তই যে বিরাট পুরুষের অঙ্গমাত্ৰ—সেই বিরাট পুরুষকে ভাবন করা আর দুঃসাধ্য কি ? নানা জীব এই জগতে নানা ভাবে অবস্থান করিলেও ইহারা সকলেই সেই বিরাট পুরুষের দেহেই অবস্থান করিতেছে-এ চিন্তার বাধা কিছুই নাই । “. ..., মুমুক্ষু—আত্মার এই যে প্রথম পাদের কথা বল হইল-ইনি হইতেছেন জাগ্রদভিমানী চৈতন্য । আত্মতত্ত্বটি চৈতন্য । ইনিই আত্মমায়ায় জাগ্ৰং, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি এই তিন অবস্থাতে অভিমান করেন; চেত্যভাবেরই এই তিন অবস্থা-চেতন ইহাতে অভিমান করেন মাত্র । অথচ ইহার স্বরূপ যে তুরীয় অবস্থা--এই তুরীয় ব্রহ্ম সর্বদা আপন স্বরূপে, আপনার সচ্চিদানন্দ স্বরূপে অবস্থান করিতেছেন। ইহা ত বড়ই আশ্চর্য যে আপন শান্ত পরিপূর্ণস্বরূপে সর্বদা অবস্থান করিয়াও সেই পরম পুরুষ আত্মমায়ায় জাগ্ৰং, স্বপ্ন, স্বযুপ্তি, মবস্থা নিত্য লাভ