বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

न कश्चन खष्ठं पश्यति तंत् घुषुमम् । सुषुमखान एकीभूत: प्रझानः घल एव इत्यादि l তুরীয় ব্রহ্ম ধখন স্বযুপ্ত অবস্থায় প্রকাশ হয়েন, তুখন অজ্ঞানের আবরণ বেশী হয় নাই। কারণ, একটিমাত্র কিছু তুরীয়ের একদেশে যেন ভাসিয়াছে। বহু আকারের বহু বস্তু তখন অধিষ্ঠান চৈতন্তের উপরে কাৰ্য্য করিতে থাকে, তখনই অজ্ঞানের আচ্ছাদনে অধিষ্ঠান-চৈতন্য পূর্ণভাবে আচ্ছাদিত হযেন ; কিন্তু স্বযুপ্তি অবস্থাতেও স্বরূপানন্দের কিঞ্চিৎ স্ফূরণ হয়। ক্রমে মহৎ অহং পঞ্চতন্মাত্র ইত্যাদি স্বষ্টি হইয় গেলে—যৎক্ষণ পর্যন্ত “অহং” এর পূর্ণ বিকাশ ন হইতেছে—আভাষ মাত্র জাগিয়াছে--তখন “স্থযুপ্তং স্বপ্নবৎ ভাতি" স্থযুপ্ত অবস্থাটি স্বপ্নের মত ভাসিয়া উঠে। স্বপ্নে কত বস্তু জাগিয়া উঠিতেছে, লয় হইতেছে— তখন জাগ্রৎ কালের অহং এর মত অহংটা নাই বলিয়া সব দেখা যাইতেছে বটে, তথাপি সূত্র যেন সংস্কার মত, স্বপ্ন মত। ব্রহ্মও সেইরূপ ভাবে স্থষ্ট্রিরূপে ভাসেন । সুষুপ্তং স্বপ্নবৎ ভাতি ভাতি ব্রহ্মৈব সৰ্গবৎ– ' ত্রগই স্মৃষ্ট্রিরূপে ভাসেন । এইটি স্বপ্লাবস্থা। পরে স্বপ্নটি আরও স্পষ্ট হইয়া জাগ্রৎ অবস্থায় আসিলে পূর্ণ অজ্ঞান জাগে ; জাগিয়া আত্মস্বরূপ বিস্মৃত হইয়া স্থলভুক্ত বৈশ্বানর প্রকাশিত হয়েন। যুপ্তি, স্বপ্ন এবং জাগ্রৎ=আত্মার এই তিন অবস্থাই_মায়িক। চিৎ আপন স্বরূপে সৰ্ব্বদা আছেন—তাহার যে চেত্যতা হহাই মায়ার প্রথম স্ফুরণ ; স্পন্দনের প্রথম বিকাশ। ব্রহ্মকে প্রকাশ করিবার কিছুই নাই । স্বপ্রকাশকে প্রকাশ করিবে কে ? ব্রহ্ম যখন আপন শক্তির সহিত এক হইয়া থাকেন, তখন শক্তি আছে বা নাই কিছুই বলা वाग्न ना। যদি থাকেন, তবে অনুভব হয় না কেন ? যদি নাই, তবে স্ফুরণ হয় কাহার ? ব্যক্তাবস্থায় আসে কে ? চন্দ্র ও চন্দ্রিক যেমন অভিন্ন, অগ্নি ও উত্তাপ যেমন অভিন্ন অথচ উত্তাপটি অগ্নি নহে, চন্দ্রিকাই চন্দ্র নহে—সেইরূপ শক্তি ও শক্তিমান অভিন্ন হইলেও শক্তিটিই শক্তিমান নহেন। শক্তি নিজে অব্যক্ত। যন্ত্র না হইলে, পরিচ্ছিন্ন না হইলে 결 -