বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ૭8મ ] শক্তি, ব্যক্তাবস্থায় আসেন না। শক্তির ব্যঞ্জাবস্থায় আগমন কালে আত্মার উপর ম্যুপ্তি, স্বপ্ন ও জাগ্ৰং অবস্থা ভাসে। अश्रुट्टेिब्र পরে যখন ইহাদের পর অহং অভিমান হয়, তখনই বলা হয় স্বযুপ্ত্যভিমানী চৈতন্য, স্বপ্নাভিমানী চৈতন্য এবং জাগ্রদভিমানী চৈতন্য । “যৎ স্বপ্ন জাগর হুযুগুমবৈতি নিত্যং" ইহা ময়িক, মূলে নাই ; তথাপি অজ্ঞান ঝলকে এই তিন অবস্থা যেন ভাসে বোধ হয়। আকাশে নীলিম নাই ; মনে হয় কিন্তু আকাশ নীল । বিচার ভিন্ন অন্য কোন উপায়ে যেমন আকাশে নীলিমা ভ্রাস্তি যাইতে পারে না, সেইরূপ বিচার ভিন্ন ব্রহ্মে জগৎপ্রান্তি বা জাগ্ৰংম্বপ্নহযুপ্তি ভ্রান্তি কিছুতেই যাইতে পারে না । সৰ্ব্বদা স্মরণ রাখ—জাগ্রংটাও ভ্রান্তি, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তি ত ভ্রান্তিই বটে ; কাজেই জাগ্রৎকালে যাহা কিছু চিন্ত হইতেছে, কাৰ্য্য হইতেছে, দর্শন, শ্রবণ, সংকল্প, বিকল্প অনুভব ইত্যাদি হইতেছে—সে সমস্তই ভ্রান্তি। পরম শান্ত অভ্রান্ত পুরুষ, সমুদ্র-তরঙ্গের অঙ্কুলে স্থির শান্ত সমুদ্ররূপে সৰ্ব্বদা বিরাজমান। তুমিও সেই স্থির সমুদ্রের মত তোমার চঞ্চলমনের সত্তা। পরম শান্ত ব্ৰহ্মই তোমার স্বরূপ। চঞ্চলতরঙ্গস্বরূপ মন তুমি নও । জাগ্রৎ, স্বপ্ন, স্বলুপ্তি মনেরই হয়। ইহারা মায়া বা প্রকৃতি বা মনের খেলা—স্থির শান্ত ব্রহ্মের উপর। বুঝিতেছ—ব্রহ্মই তোমার স্বরূপ, তুমিই ব্রহ্ম। শরীর তুমি নও, চিত্ত তুমি নও, অহং তুমি নও, প্রকৃতি তুমি নও--তুমি প্রকৃতি হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পদার্থ। তুমি চিন্মাত্র, তুমি সচ্চিদানন্দ তুরীয় ব্রহ্ম। কোন দুঃখ তোমাতে নাই । সমস্ত দুঃখের অভাব যাহা অহাই আনন্দ–ব্রহ্ম । সমস্ত অজ্ঞানের অভাব যাহ। তাহাই ব্ৰহ্ম। অজ্ঞানের আবরণটা সরাইয় ফেলাই মুক্তি -পূর্ণ আনন্দ ত আছেনই। অজ্ঞানটাই দুঃখ। অজ্ঞান যাহাকে আবরণ করিয়া ভাসে, তিনিই তুরীয় ব্ৰহ্ম---তিনিই আনন্দ স্বরূপ । অজ্ঞান বা সর্বপ্রকার দুঃখ সরাইয়া ফেলিতে পারিলেই আনন্দ স্বরূপে নিত্য স্থিতিলাভ করা যায়। সেই জন্যই আত্মার এই ময়িক তিনপা ড়িার করা যাইতেছে। . . . . .