মাধুকোপনিষদ। t মুমুকু। মা ! আত্মা ত চতুষ্পদ। কিন্তু “পাদ” এই কথার ধাতুগত অর্থ কি ? শ্রীতি। প্রথম অর্থ পদ্যতে য: স পাদঃ পাওয়া যায় যাহা তাহাই পাদ । দ্বিতীয় অর্থ পদ্যতে যেন—পাওয়া যায় যাহা দ্বারা তাহাই পাদ । এখন প্রথম অর্থটি ধারণা কর । যাহা পাওয়া যায় তাহা কি ? মানুষের প্রাপ্তির বস্তুটি কি ? সাধকের প্রাপ্তির বস্তুটি হইতেছে— শ্ৰীভগবান। ইনিই অদ্বয়জ্ঞান। ইনিই পরমপদ। ইনিই তুরীয় ব্ৰহ্ম। মহাপ্রলয়ে যখন চন্দ্র, সূৰ্য্য, আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল, স্থল, জীব জন্তু কিছুই থাকে না, সব প্রকৃতিতে লয় হইয়া যায়, প্রকৃতি আবার পুরুষে লয় হয়, তখন যিনি আপনি-আপনি থাকেন, তিনিষ্ট তুরীয় ব্রহ্ম, নিগুণ ব্রহ্ম, নিরুপাধি ব্রহ্ম । আবার স্বষ্টির প্রাক্কালে যখন ইহার এক অতি ক্ষুদ্র অংশে মায়া ভাসেন, আর সেই মায়ার ভিতরে ছায়া ছায়া মত সূক্ষ বাসনাপুঞ্জ উঠিতে থাকে, তাহারাই আবার কালে স্থূল হইয়া এই পরিদৃশ্যমান বিচিত্র জগৎরূপে দাড়ায়, তখন যিনি সমষ্টি-স্বষ্টিকে অব্যক্ত মূৰ্ত্তিতে পরিবেষ্টন করিয়া থাকেন, যাহাকে স্মরণ করিয়া শ্ৰীগীত বলেন “ময়া ততমিদং সৰ্ব্বং জগদ্ব্যক্তমূৰ্ত্তিন৷” তিনিই পরমেশ্বর, অন্তর্মামী, সগুণ, বিশ্বরূপ ব্রহ্ম। নিগুৰ্ণব্ৰহ্ম সর্বদ আপনার আপনি-আপনি স্বরূপে পূর্ণ থাকিয়াও এক অংশে মায় উঠাইয়া, সেই মায়ার অধীশ্বর হইয়া নিশ্বরূপ ধারণ করেন । আবার এই অদ্বয় জ্ঞানস্বরূপ পূৰ্ণব্ৰহ্মই ময়িক জগতের প্রতি ব্যষ্টির মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া, ভূতে ভূতে আত্মারূপে প্রতিবস্তুর নিয়ন্ত হয়েন। নিগুণ, সগুণ, আত্মা এই তিনটিই তিনি। ইহা ভিন্ন তাহার আর একটি মূৰ্ত্তি আছে। সেটি অবতার। যখন যখন এষ্ট স্বস্ট-জগতের বিপ্লব উপস্থিত হয়, যখন যখন ধৰ্ম্মের গ্লানি, অধৰ্ম্মের অভুত্থান হয়, তখন তখন এই প্রভুই সাধুদিগের পরিত্রাণ ও অসাধুদিগের বিনাশ জন্য মায়ামানুষ বা মায়ামানুষী রূপ ধরিয়া অবতীর্ণ হয়েন। যিনি মুক্তি ধরিয়া অবতার—তিনিই চৈতন্যরূপে জাবে জীবে আত্মা । যিনি আত্মা