やや মাণ্ডুকোপনিষদ। তিনি, ঘটাকাশ যেন মহাকাশ হইতে কখন খণ্ডিত হন না—একটা অজ্ঞানে মনে হয় যেন ঘটাকাশটা মহাকাশের অংশ, কিন্তু মহাকাশের ংশ কখনও হয় না—সেইরূপ আত্মাও আপন স্বরূপে পূর্ণ থাকিয়াও একটা অজ্ঞানে বা অবিদ্যা-প্রভাবে মনে হয় যেন খণ্ডচৈতন্য । ফলে এই অবিদ্যার নাশ হইলে এই জীবপ্রবিষ্ট খণ্ডমত আত্মাই সর্বব্যাপী, সর্ববান্তর্যামী, সৰ্ব্বেশ্বর আত্ম । যতদিন মায়ারচিত সৰ্ব্ব বলিয়া কিছু থাকে, ততদিন তিনি মায়াধীশ, সৰ্ব্বেশ্বর, সর্ববনিয়ন্ত । কিন্তু মহাপ্রলয়ে যখন সৰ্ব্ব বলিয়া কিছুই থাকে না, তখন এই সৰ্ব্বব্যাপী, সগুণ পরমেশ্বরই সৰ্ব্বশূন্ত হইয় আপনি-আপনি নিগুৰ্ণ পরমপদ, তুরীয় ব্রহ্ম। তাই বলা হইতেছে-এই সমকালে নিগুণ, সগুণ, আত্মা ও অবতাররূপী তুরীয়-ব্রহ্মই প্রাপ্তির বস্তু পাদ কথার প্রথম অর্থে তবে তুরীয় পাদটিই পাওয়া যায় ; প্রাঙ্গ, হজস, বিশ্ব এই মায়াজড়িত তিন পাদকে পাওয়া যায় না । স্বরূপটিই পাইবার বস্তু। স্বরূপটি সৰ্ব্ব অবস্থাতে এক হইলেও অন্য তিন পদে যদি স্বরূপবিস্মৃতি ঘটে, তবে ঐ তিন পাদ, প্রাপ্তির বস্তু নহে। দ্বিতীয় অর্থে তুরীয় পরমপাদকে পাওয়া যায় যাহা দ্বারা তাহাই বুঝা যায়। তুরীয়-পাদকে পাওয়া যায় কাহা দ্বারা ? “ত্রয়াণাং বিশ্বদনাং পূর্ব-পূৰ্ব্ব প্রবিলাপন তুরীয়স্ত প্রতিপত্তিরিত করণসাধন: পাদশদুঃ। তুরীয়ন্ত তৃ পদ্যত ইতি কৰ্ম্মসাধন পাদশদঃ। মুমুক্ষু। মা ! লাহারা মায়া হইতে মুক্তি ইচ্ছা করেন, তাহাদের এই প্রবিলাপনরুপ সাধনটিই ত প্রয়োজন । কিরূপে জাগ্রাৎকে স্বপ্নে, স্বপ্নকে হুমুপ্তিতে, স্থযুপ্তিকে তুরীয়ে লয় করিয়া পরমপদে স্থিতিলাভ করা যায় ইহাষ্ট ত একমাত্র বুঝিবার বিষয়। শ্রুতি। বাবা ! ইহার জন্যই ত জাগ্রৎ, স্বপ্ন, সুযুপ্তি এই তিন অবস্থা প্রথমে জানা চাই। মাণ্ডুক্য সেইজন্যই ত জাগরিত স্থান, স্বপ্নস্থান, স্থলুপ্ত স্থানের কথা আগে বলিতেছেন। জাগ্রৎ যাহা, তাহার অভাবটি হইতেছে স্বপ্নকাল আবার জাগ্রৎ ও স্বপ্নের অভাব হইতেছে