বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাধুক্যোপনিষদ। ৩৭ স্বযুপ্তি। আবার সকলের অভাব হইতেছে —তুরীয়। যখন যে অবস্থায় থাক, সেই সময়ে তাহার অভাবের অবস্থা ভাবন করাই ত সাধন । মুমুক্ষু । মা ! মুখ্য কথাটি অগ্রে না ধরিলে গৌণ কথার ব্যাখ্যাতে আগ্রহ জন্মায় না, সেই জন্যই সাধনার এই মুখ্য কথাটি প্রথমেই ধরিতে চাই । শ্রীতি। বল কি জানিতে চাও ? মুমুক্ষু । আবার বলি-জাগ্ৰং, স্বপ্ন, সুমুপ্তি এই তিন অবস্থ৷ জানিলে, একটি অবস্থাকে পরে পরের অবস্থায় লয় করিয়া কিরূপে স্বরূপধিগ্রান্তি হইবে তাহাই ত জানিতে চাই । শ্রীতি। স্ত্রী শূদ্র সকলকেই শ্রুতি এই সাধনাই করিতে বলিতেছেন। বেদমাতার উপাসনায় অর্থাৎ গায়ী সাধনায় গতি প্রয়োজনীয় তত্ত্ব হইতেছে “বিদ্মহে এবং ধীমহি” । তাগ্রে জান পরে ধ্যান বা ভাবনা কর-ইহাই একমাত্র সাধন। এখন দেখ মাণ্ড,ক্য কি বলিতেছেন ? জাগ্ৰং, স্বপ্ন, সুষুপ্তিকে প্রথমে জান। জানিয়া জাগ্রৎকালে, বিষয়ে জাগিয়া থাকিবার কালে, জাগ্রস্তের অভাব যে স্বল্পকাল তাহার ভাবন কর । আবার স্বপ্নকালে স্বপ্নের অভাব যে সুমুপ্তি তাহার ভাবন। কর । আবার স্বযুপ্তির অভাবটিকে যখন সাধন-সুলুপ্তিকালে ভাবনা করিতে পরিবে, তখন হুইবে পরমপদে স্থিতি । তুমি জাগ্রংকেও জান আর জাগ্রতের অভাবকে ও ত জান । জী গ্রাৎকালে জাগ্রতের অভাবকে ভাবনা কর, করিলে জা গৎভাব ভূলিতে পরিবে । এইরূপ অন্যগুলিও । 奪 মুমুক্ষু। মা ! এই সাধনাটি ভাল করিয়া বুঝাইয়া দাও । শ্রুতি । বাবা ! আগে জগৎ, স্বপ্ন, স্থযুপ্তিতে কোন কোন্‌ অবস্থ হয় তাহ জান, পরে এক অবস্থার অভাবরূপ অন্য অবস্থায় যাওয়া যায় কিরূপে তাঁহাই বুঝিবে । তুমি ব্যগ্র হইয়াছ, সেই জন্য । এখানে কতকটা আভাস মাত্র দিতেছি। যাহারা সাধনা করে না তাহদেরও জাগ্ৰং, স্বপ্ন, স্থষুপ্তি হয়। ইহারা জগৎকালে ইন্দ্রিয়