বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাক্যোপনিষদ। లిసె আর যোগপথটি দ্বারা এই দুই পথের ভিত্তিটি দৃঢ় হয়। ভক্তিপথে শ্ৰীভগবানকে দেখিয়া দেখিয়া শ্ৰীভগবানে তন্ময় হইয়া থাকিতে হয়, জগৎবিচারের আবশ্যক থাকে না। . কিন্তু জ্ঞানপথে চিন্ময় প্রভুর দেখার অভ্যাস ত করিতেই হইবে ; শ্রবণ, মনন নিদিধ্যাসন ত থাকাই চাই।--তার সঙ্গে সঙ্গে জগৎ দেখিয়া পিচার দ্বারা জগৎ দেখা আর যাহাতে না থাকে তাহাও চাই । বলা হইল ভক্তিপথের শ্রবণ, মনন ত ইহাতে থাকেই তাহার উপরে জগতের বিচার দ্বারা দেখান হয়--তরঙ্গ যেমন স্থির জল ভিন্ন অন্য কিছুই নহে, সেইরূপ এই যে জগৎ, এটা সেই চৈতন্যপুরুষই একটা মায়ার মুখোস পরিয়া দাড়াইয়া আছেন। মায়ার মুখোসটা একটা ভ্রম মাত্র। ভ্রমটাকে জান যে এটা ভ্ৰম, তবেই ইহা আর তোমায় ভুলাইতে পরিবে না । শেষে বুঝিতে পরিবে, রজুতে যে সর্পভ্রম, এ সর্প টা আদৌ নাই ; একমাত্র রজসুই আছে। তাই বলিতেছি, জ্ঞানমার্গে প্রথমে মনে হইবে তুমি যেমন জগৎকে দেখিতেছ—সেইরূপ জগৎ-দেহ ধারণ করিয়া সেই চৈতন্যময় পুরুষ ও তোমায় দেখিতেছেন । জগৎরুপ ধারণ করিয়া তিনিই দাড়াইয়৷ আছেন । আকাশের ভিতর দিয়া, বায়ুর ভিতর দিয়া, অগ্নির ভিতর দিয়া, জলের ভিতর দিয়া পৃথিবী, পর্বত, বৃক্ষ, লতা, মানুষ, পশু, পক্ষী এমন কি বাকা, মন, প্রাণ, চক্ষু, কর্ণ এক কথায় জগতে যাহা কিছু আছে--সুন্দর, কুৎসিত, দুষ্ট, শিষ্ট, শত্র, মিত্র, বালক, বালিকা, যুবক, যুবতী, বৃদ্ধ, বৃদ্ধ সকলের মধ্য দিয়া তিনিই তোমাকে দেখিতেছেন। তুমিও তিনি—ইহা তিনি জানেন, কিন্তু তুমি তোমাকে ঘটমধ্যবৰ্ত্তী আকাশের মত খণ্ডভাবে জানিয়াই সংসার-বিপদে পড়িয়াছ। যখন বুঝিবে সেই অখণ্ড চৈতন্যই তোমার মধ্যে পূর্ণভাবে থাকিয়াও খেলা করিতেছেন, তখন তাহাকে দেখিয়া দেখিয়া তিনি হইয়াই সুরূপবিশ্রান্তি লাভ করিবে । মুমুক্ষু । ইহার জন্যই জাগ্রৎ, স্বপ্ন ও স্বযুপ্তিকে বিশেষরূপে জানা আবশ্বক বুঝিতেছি।