বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মাণ্ডূক্যোপনিষদ্‌ - প্রথম খণ্ড (রামদয়াল দেবশর্ম্মা).pdf/৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

穆够 মাধুক্যোপনিষদ। স্বরূপানন্দ স্ফুরণং। চেতে মুখং আনন্দভোগদ্বারং যন্ত সঃ। একত্রানন্দাত্মনি তদাহজানানন্দা-কারবৃত্তা ভোক্তৃত্বং মুখত্বং চোপচর্য্যত ইতি ভাবঃ। যদ্ব স্বপ্নাদি প্রতিবোধং চেতঃ প্রতিদ্বারাভূতত্বাৎ চেতোমুখ: ; বোধলক্ষণং বা চেতোদ্বারং মুখমন্ত স্বপ্নাদ্যাগমনং প্রতীতি চেতোমুখঃ। দান্নৰূলীয় যাব । ভূতভবিষ্যজজ্ঞাতৃত্বং সর্ববিষয়ঞ্জাতৃত্বং অন্তৈবেতি প্রাজ্ঞঃ । অথবা প্রজ্ঞপ্তিমাত্রং অস্তৈব অসাধারণং রূপমিতি প্রাজ্ঞঃ। প্রকৃষ্টং বিষয়াহপূক্তং স্বরূপং জানাতি যস্তদা প্রজ্ঞ: স এব প্রাজ্ঞঃ। ইতরয়োর্বিবশিষ্টমপি বিজ্ঞানমস্তীতি। সোহয়ং প্রাজ্ঞস্ত তীয় পাদঃ। যে স্থানে বা যে কালে সুপ্তপুরুষ কোন কাম বা ভোগেচ্ছ কামনা করেন না, কোন স্বপ্নও দেখেন না তাহাই সুষুপ্ত অবস্থা । সেই অবস্থার অধিষ্ঠাতা যে চৈতন্যস্বরূপ আত্মা, তিনি স্বযুপ্তিতে অভিমান করেন বলিয় তাহাকে বলা হয় স্বযুপ্তিস্থান। তিনি একীভূত। জাগরণ ও স্বপ্রাবস্থাতে প্রপঞ্চময় বিশ্বের পৃথক পৃথক বস্তুর পৃথক পৃথক বোধ থাকে। কিন্তু কুয়াসাতে যেমন নানা আকার বিশিষ্ট বস্তু সকল একাকারে অনুভূত হয়, সেইরূপে এই বিচিত্র বস্তুপরম্পরাপূর্ণ বিশ্ব মুযুপ্তিকালে একীভূত হইয়া থাকে বলিয়া কুযুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে একীভূত বলা হয়। ইনি প্রজ্ঞানঘন । সুষুপ্তিকালে নানাপ্রকার বস্তুর নানাপ্রকার জ্ঞান, মিশ্রিতের ন্যায় থাকে বলিয়া সুমুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে প্রজ্ঞান-ঘন বলা হয় অর্থাৎ স্বযুপ্তিকালে বস্তু সমূহের জাতিগুণক্রিয় ইত্যাদির পৃথক পৃথক বোধ থাকে না, একটা মিশ্রিত জ্ঞান থাকে বলিয়া ইনি প্রকৃষ্ট জ্ঞান-মূৰ্ত্তি। ইনি এই সময়ে আনন্দময় বা প্রচুর আনন্দ-পূর্ণ, কিন্তু আনন্দ-স্বরূপ নহেন। মনটা যখন বিষয় আকারে বা বিষয়ী আকারে স্পন্দিত হয়, তখন যতই অল্প হউক না ঐ স্পন্দনেও আয়াস থাকে। স্পন্দনায়াসের কোন প্রকার দুঃখ, বিষয় অমুভবের কোন প্রকার ক্লেশ, স্বযুপ্তি অবস্থায় থাকে না বলিয়া সুষুপ্তির অধিষ্ঠাতাকে আনন্দময় বলা হয়। প্রচুর অর্থে ময়টু প্রত্যয় হয়।