পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** তাশ গ্রন্থের আদরকর্তা লোক অতি অল্প। একথা সত্য কি মিথ্যা, দেখ,–এ যাবৎ নায় পদার্থতত্ত্ব, তত্ব বিদ্যাও ধৰ্ম্মতত্বদীপিকা প্রভৃতি কএকখানি উত্তম বিচার গ্রন্থ প্রচারিত হইয়াছে ; কিন্তু তাহা ক-ট লোকে ব্যবহার করে? কটি লোকেই বা আদর করে –অনাদরের কারণ আর কিছুই না, কেবল,তাদৃশ গ্রন্থে লোকের রুচি না থাকাই করণ। রুচি না থাকার কারণ বিবিধ। তন্মধ্যে তজ্জাতীয় গ্রন্থ ন বুঝিতে পারাও একটি কারণ। এইটিই মুখ্য কারণ। ন বুঝিবার কারণ কি ?— প্রতিবন্ধক। কি প্রতিবন্ধক ?—অপ্রাপ্ত ব্যবহার শিশুদিগের ব্যাকরণ স্বত্র বুঝিবার যে প্রতিবন্ধক, বর্তমান কালের অধিকাংশ লোকেরই দার্শনিক পদ পদার্থ বুঝিবার সেই প্রতিবন্ধক । বালকের বৈরাকরণিক পদার্থের চর্চা করে না; সেইজন্য তাহা তাহার হঠাৎ ৰুধিতে পারে না ; তজপ, বৰ্ত্তমান কালিক লোকেরাও চর্চা করেন না বলিয়া দার্শনিক গ্রন্থ বুঝিতে পারেন না । অচর্চিত পদ-পদার্থ সহসা উপস্থিত হইলে জ্ঞান তাহাকে আয়ত্ত করিতে পারে না । জ্ঞানগম্য ন হইলেও বস্তুর যথাযথ আদর হয় না। অতএব, একদেশীয় ব্যবহার্ঘ্য ভাষাদি, চর্চ রহিত অন্যদেশীয়দিগের নিকট যেমন বিরক্তি ও উপেক্ষার সামগ্ৰী,-সেইরূপ, চৰ্চাবিহীন বর্তমানকালিক অধিকাংশ লোকের নিকট দার্শনিকভাব বিরক্তি ও উপেক্ষার সামগ্ৰী হইয়া আছে। যে মনুষ্যের যে বস্তুতে অরুচি থাকে, সে যদি যত্বপূৰ্ব্বক প্রতিদিন কিছু কিছু করিয়া সেই বস্তুর চর্চা বা সেবা করে—তাহ হইলে তাহার সেই চর্চ, তদগত অরুচির কারণ ধ্বংস করিয়া তদ্বিষয়ে অপূৰ্ব্ব রুচি উৎপাদন করে । এইরূপ চৰ্চা-প্রবণতা মানব মনের স্বাভাবিক ও অব্যভিচারী ধৰ্ম্ম। মহর্ষি ব্যাস একস্থানে বলিয়াছেন,—