বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७२ সাজ্জ্ব্যদর্শন। [অধ্যাস বা ভ্ৰম-জ্ঞান। এই রূপ শাস্ত্রের নানা স্থানে নানা প্রকার চাক্ষুষ জ্ঞানের কথা বার্তা আছে। কাচ প্রভৃতি স্বচ্ছ পদার্থ ব্যবধান থাকিলে দেখা যায়, আর মলিন পদার্থ থাকিলে দেখা যায় না, ইহার কারণ কি ?—আদর্শে দর্শন কালে বস্তু বিপরীত ক্ৰমে দৃষ্ট হয় কেন ?—নদী তীরস্থ বৃক্ষকে অধঃশির দেখা যায় কেন ?—উপরিস্থ চন্দ্র স্বৰ্য্যাদির প্রতিবিম্ব জলের উপর ভাসমান না দেখাইয়া মধ্য-নিমগ্ন অর্থাৎ ভূবিয়া থাকার ন্যায় দেখা যায় কেন ?—কত দুর, কত সামীপ, কত স্বল্প, কত স্থল বস্তুর যথার্থ দৰ্শন হয়, কোথা হইতেই বা ব্যতিক্রম আরম্ভ হয়, এই সকল বিষয় নানা শাস্ত্রের নানা স্থানে থাকিলেও তাহা সাঙ্খ্যাতুগত নহে বিবেচনায় পরিত্যাগ করা গেল । আধ্যাসিকজান বা ভ্ৰম-জ্ঞান। প্রমা-জানের লক্ষণ বলা হইয়াছে। তৎসঙ্গে ভ্ৰম-জ্ঞানেরও লক্ষণ নির্দেশ করা হইয়াছে, আর তাহা বিস্তার করিবার আবশ্যক নাই। ফল, ভ্রমজ্ঞানের সাধারণ লক্ষণ এই যে, এক প্রকার বস্তুতে অন্ত প্রকার জ্ঞান হওয়ার নামই ভ্রম। ইহাই স্মরণ থাকিলে যথেষ্ট হইবে। অধ্যাস, আরোপ, অবিবেক-প্রভৃতি ইহার নামান্তর মাত্র। দর্শনশাস্ত্রে ভ্রমের উৎপত্তি ও নিবৃত্তির কারণ এবং তাহার অবাস্তুর প্রভেদ প্রভৃতি যেরূপ নির্ণাজু হইয়াছে, তাহাই এক্ষণকার বক্তব্য। সাস্থ্য এবং বেদান্ত বলেন, ভ্ৰম-জ্ঞান মিথ্যা হইলেও তাহার কোন না কোন ফল আছে । রজ্জ সর্প দেখিলে তদনন্তর ভয় জন্মে, কম্পও জন্মে। পিপাসাৰ্ত্ত ব্যক্তি মৃগতৃঞ্চিকায় প্রতারিত হইয়া পানীয় আহরণে ধাবিত হইয়া থাকে। যদ্যপি ভ্ৰম-মাত্রই মিথ্যা বা অসদ্বত্ব-অবগাহী, তথাপি তাহার কোৱ না কোন ফল আছে কিন্তু