বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাস বা ভ্ৰম-জ্ঞান ) সাঙ্খ্যদর্শন । \o তাহা সৰ্ব্বত্র সমান নহে। ভিন্ন ভিন্ন ভ্রমের ভিন্ন ভিন্ন ফল ও প্রভাব দৃষ্ট হয়। সেই ফলভেদদৃষ্টি ভ্ৰম-জ্ঞানেরও শ্রেণী ভেদ কল্পনা করা: যায়। প্রথমতঃ সোপাধিক ও নিরুপাধিক ভেদে দুই প্রকার। অনন্তর উক্ত উভয় বিধের মধ্য হইতে সম্বাদী, বিলম্বাদী, আহাৰ্য্য ও ঔপাধিক-আহাৰ্য্য, এই চারি প্রত্ত্বার জাতি কল্পনা করা হইয়া থাকে। সোপাধিক ভ্রম—যদি দুই বা ততোধিক বস্তু পরস্পর সন্নিহিত থাকে, আর সেই সন্নিধান বশতঃ এক বস্তুর গুণ বা কোন প্রকার ধৰ্ম্ম অন্তবস্তুতে মিথ্যা বা সত্য ভাবে সংক্রাস্ত হয়,তাহা হইলে, যাহার গুণ অন্যত্র সংক্রান্ত হইতেছে, তাহাকে উপাধি, আর যাহাতে সংক্রান্ত হইতেছে তাহাকে উপহিত সংজ্ঞা দেওয়া হয়। যে স্থলে উক্ত প্রকার উপাধির সংসর্গ বশতঃ একপ্রকার স্বভাবাপন্ন বস্তু অন্যপ্রকারে পরিদৃষ্ট হয়, সে স্থলে সোপাধিক ভ্রম। স্ফটিক স্বভাবতঃ স্বচ্ছ ও শুভ্রবর্ণ; কিন্তু কখন কুখন কোন রঞ্জক পদার্থের সন্নিধান বশতঃ উহা পীত বা লোহিত বলিয়া প্রতীত হইয়া থাকে। সেই প্রতীতি স্কটিক রক্তবর্ণ এই রূপ প্রতীতি] ভ্রম। তত্ৰত্য উপাধি (রঞ্জক বস্তু) তৎকালে প্রত্যক্ষ গোচর হউক বা না হউক, ‘রক্তবর্ণ ফটিক” এই জ্ঞান ভ্রম এবং তাঁহাই সোপাধিক-ভ্রম। w নিরুপাধিক ভ্ৰম—যে স্থলে উক্ত কোন প্রকার উপাধির সন্নিধান নাই, অথচ অন্যথা জ্ঞান বিস্তুর স্বরূপ এক প্রকার-জ্ঞান হয় অন্য প্রকার] হয়, সে স্থলে নিরুপাধিক ভ্রম। মঞ্চ, নীল আকাশ। বস্তুতঃ আকাশের কোন বর্ণ নাই, অথচ নিরত্র অবস্থাতেও আকাশ, যেন প্রগাঢ় নীলবর্ণ বলিয়া বোধ হয়। অতএব আকাশে নীলিম{ জ্ঞান ভ্রম এবং তাহ নিরুপাধিক-ভ্ৰম । ।