পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌক্তিকজ্ঞান । ] সাখ্যদর্শন। " అd মাত্র করাই তাহাদিগের উদেশ্য। স্পষ্ট করিয়া বলা কেবল আচাৰ্য্যদিগের রীতি, স্বত্রকারদিগের নহে। স্বত্রকারের স্পষ্ট করিয়া বলেন না বলিয়া, আচার্য্যের সে সমস্ত স্পষ্ট করিয়া বলেন । স্বত্রার্থকালে যে পথে, যে রীতিতে, যে প্রকারে যে যে অর্থের বিস্তার করিতে হইবে, বক্তব্য বিষয়ের শরীর যে রূপে চিত্রিত করিলে স্পষ্ট হুইবে, সে সমস্তই স্বত্র মধ্যে আংশিকৰূপে নিহিত থাকে। আচাৰ্য্যেরা সেই সেই অংশ অবলম্বন করিয়াই তাহাকে বিস্তার করেন। যুক্তি ও যৌক্তিক-জ্ঞানের লক্ষণ যাহা বলা হইল, তাহা স্বত্রানুসারী বলিয়া স্পষ্ট হয় নাই, নির্দোষও হয় নাই। এজন্য পুনশ্চ উহাকে আচাৰ্য্যদিগের রীতিতে বলা আবশ্যক, কিন্তু সম্পূর্ণ আচাৰ্য্য-রীতিতে বলিতে গেলে এই প্রস্তাব এত বিস্তীর্ণ হইবে যে কেবল এই বিষয়ের নিমিত্ত একখানি স্বতন্ত্র পুস্তক না করিলে তাহ সন্ধুলন হইবে না। স্বতরাং অবিকল আচাৰ্য্য রীতির অনুসরণ না করিয়া তন্মধ্য হইতে অবশ্য-বক্তব্য স্থল স্থূল অংশ গুলিকেই বিবৃত করা যাইতেছে। কোন পদার্থ, কোন এক পদার্থের সহিত নিয়ত অবস্থান করে,—কোন এক বস্তুর অভাব হইলে, তৎসঙ্গে অন্য এক বস্তুরও অভাব হয়,—কোন এক পদার্থ উৎপন্ন হইলে, তৎসঙ্গে বা তাহার অব্যবহিত পরে, অন্য এক পদার্থ জন্ম গ্রহণ করে,--ইত্যাদি প্রকারে এক পদার্থের সহিত অপর পদার্থের যে স্বাভাবিক-সম্বন্ধ থাকার নিয়ম দৃষ্ট হয়, সেই স্বাভাবিক সম্বন্ধের নাম অবিনাভাবসম্বন্ধ ও ব্যাপ্তি। পদার্থে পদার্থে যে স্বাভাবিক-ব্যাপ্তি বিদ্যমান আছে, সেই স্বাভাবিক ব্যাপ্তি থাকাই যুক্তির পূর্ব রূপ, আর মনুষ্য-মনে তাহার অভ্রান্ত সংস্কার সঙ্কুলিত হওয়াই উত্তর রূপ। এই উভয়বিধ রূপ