বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৮ अtथबt ! সামিব এবং নিরামিষ আহারের কাহার কিরূপ ফল সে বিষয়ে জামার কিছু বলা শোভা পায় না এবং ডাক্তারের মধ্যেও নান৷ মত । কিন্তু চন্দ্রনাথ বাবু নিজ মত প্রকাশ করিয়াছেন। তিনি বলেন “নিরামিষ আহারে দেহ মন উভয়েরই বেরূপ পুষ্টি হয় আমিষযুক্ত আহারে সেরূপ হয় না।” আমরা এক শতাব্দীর উৰ্দ্ধকাল একটি প্রবল আমিষাশী জাতির দেহ মনের সাতিশয় পুষ্টি অস্থিমজ্জায় অমুভব করিয়া আসিতেছি, মত প্রচারের উৎসাহে চন্দ্রনাথ বাবু সহসা তাহাদিগকে কি করিয়া ভুলিয়া গেলেন বুঝিতে পারি না। তাহারাই কি আমাদিগকে ভোলে, না আমরাই তাহাদিগকে ভুলিতে পারি ? তাহাদের দেহের পুষ্ট মুষ্টির অগ্রভাগে আমাদের নাসার সম্মুখে সৰ্ব্বদাই উদ্যত হইয়া আছে, এবং তাহদের মনের পুষ্টি যদি অস্বীকার করি তবে তাহাতে আমাদেরই বোধশক্তির অক্ষম ত{ প্রকাশ পায় । প্রমাণস্থলে লেখক-মহাশয় হবিষ্যtশী অধ্যাপক পণ্ডিতের সহিত আমিষাশী নব্য বাঙ্গালীর তুলনা করিয়াছেন। এরূপ তুলন। নানা কারণে অসঙ্গত। প্রথমতঃ মুখের এক কথাতেই তুলনা হয় না। অনির্দিষ্ট আনুমানিক তুলনার উপর নির্ভর করিয়া সৰ্ব্বসাধারণের প্রতি অকাট্য মত জারি করা যাইতে পারে না । - দ্বিতীয়তঃ, যদি বা স্বীকার করা যায় যে, অধ্যাপক পণ্ডিতের। মাংসাশী যুবকের অপেক্ষ বলিষ্ঠ ও দীর্ঘজীবী ছিলেন তথাপি আহারের পার্থক্যই যে সেই প্রভেদের কারণ তাহার কোন প্রমাণ নাই। সকলেই জানেন , অধ্যাপক পণ্ডিতের জীবন নিতাস্তই