বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চন্দ্রনাথ বাবুর মত । ጏፃሕ নিরুদ্বেগ এবং আধুনিক ধুবকদিগের পক্ষে জীবনযাত্রামিৰ্ব্বাহ বিষম উৎকণ্ঠার কারণ হইয়া পড়িয়াছে এবং উদ্বেগ যেরূপ আয়ু ক্ষয়কর এরূপ আর কিছুই নহে । নিরামিষাশী শ্ৰীযুক্ত ঈশানচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয় যতই বলিষ্ঠ ও নম্র প্রকৃতি হেীন না কেন তাহাকে “সাত্বিক জাহারের উৎকৃষ্টতার” প্রমাণস্বরূপে উল্লেখ করা লেখক-মহাশয়ের পক্ষে যুক্তিসঙ্গত হয় নাই। আমিও এমন কোন লোককে জানি যিনি দুই বেলা মাংস ভোজন করেন অথচ তাহার মত মাটির মানুষ দেখা যায় না। আরও এমন ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত অনেক আছে । কিন্তু সে গুলিকে প্রমাণস্বরূপে উল্লেখ করিয়া ফল কি ? চন্দ্রনাথ বাবুর বিবেচনা করিয়া দেখা উচিত এরূপ ব্যক্তিগত দৃষ্টান্ত প্রমাণস্বরূপে প্রয়োগ করিলে বুঝায় যে, তাহার মতে অন্ত পক্ষে একজনও বলিষ্ঠ এবং নিৰ্ম্মল প্রকৃতির লোক নাই । আধুনিক শিক্ষিত যুবকদের প্রতি চন্দ্রনাথ বাবুর অভিযোগ এই যে, "র্তাহারা অসংযতেন্দ্রিয়, তাহাদের সংযম শিক্ষা একেবারেই হয় না। এই জন্য তাছার প্রায়ই সম্ভোগপ্রিয়, ভোগাসক্ত হইয়া থাকেন। শুধু আহারে নয়, ইন্দ্রিয়াধীন সকল কার্য্যেই র্তাহারী কিছু লুব্ধ, কিছু মুগ্ধ, কিছু মোহাচ্ছন্ন।” অসংযতেন্দ্রিয় এবং সংষমশিক্ষাহীন, সম্ভোগপ্রিয় এবং ভোগাসক্ত, মুগ্ধ এবং মোহাচ্ছন্ন কথাগুলার প্রায় একই অর্থ। উপস্থিতক্ষেত্রে চন্দ্রনাথ বাবুর বিশেষ বক্তব্য এই যে, নব্যদের লোভটা কিছু বেশি প্রবল। প্রাচীন ব্রাহ্মণবটুদের ঐ প্রবৃত্তিটা যে মোটেই ছিল না একথা চন্দ্রনাথ বাবু বলিলেও আমরা স্বীকার করিতে পারিব না । লেখক মহাশয় লুব্ধ পশুর সহিত নব্য পশু-খাদকের কোন প্রভেদ