izi .. সাধন ।ه দেখিতে পান না। কিন্তু এ কথা জগদ্বিখ্যাত যে, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতকে বশ করিবার প্রধান উপায় আহার এবং দক্ষিণ । অধ্যা'পক মহাশয় ঔদরিকতার দৃষ্টান্তস্থল। যিনি একদিন লুচি দধির গন্ধে উন্মন হইয়া জাতিচু্যত ধনীগৃহে উৰ্দ্ধশ্বাসে ধাবমান হইয়াছিলেন এবং অtহারান্তে বাহিরে আসিয়া কৃতকাৰ্য্য অম্লানমুখে অস্বীকার করিয়াছিলেন তাহারই পৌত্র আজ “চপৃকট্রলেটের সৌরভে বাবুর্চি বাহাদুরের খাপূরেলখচিত মুর্গিমণ্ডপাভিমুখে ছোটেন” এবং অনেকে তাহ বাহিরে আসিয়া মিথ্যাচরণপূৰ্ব্বক গোপনও করেন না। উভয়ের মধ্যে কেবল সময়ের ব্যবধান কিন্তু ংযম ও সাত্ত্বিকতার বড় ইতরবিশেষ দেখি না। তাহা ছাড়া নব্য ব্রাহ্মণদিগের প্রাচীন পিতৃপুরুষেরা যে ক্ৰোধবর্জিত ছিলেন র্তাহীদের তর্ক ও বিচার প্রণালী দ্বারা তাহাও প্রমাণ হয় না। যাহা হউক প্রাচীন বঙ্গসমাজে ষড় রিপু যে নিতান্ত নিজীবভাবে ছিল এবং আধুনিক সমাজে আমিষের গন্ধ পাইবামাত্র তাহারা সব ক’টা উদাম হইয়া উঠিয়াছে এটা অনেকটা লেখকমহাশয়ের কল্পনা মাত্র । তাহার জানা উচিত আমরা প্রাচীন কালের যুবকদিগকে প্রত্যক্ষ দেখিতে পাই না ; যাহাদিগকে দেখি তাহার যৌবনলীলা বহুপূৰ্ব্বে সমাধা করিয়া ভোগাসক্তির বিরুদ্ধে উপদেশ দিতে আরম্ভ করিয়াছেন । এই জন্য আমাদের সহজেই ধারণ হয় তবে বুঝি সেকালে কেবলমাত্র হরিনাম এবং জ্বাত্মারই আমদানী ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে যে সকল পীতবর্ণ জীৰ্ণ বৈষয়িক এবং রসনিমগ্ন পরিপক্ক ভোগী বৃদ্ধ দেখা যায় তাহাতে বুঝা যায় সত্যযুগ আমাদের অব্যবহিত পূৰ্ব্বেই ছিল না ।