পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাময়িক সাহিত্য সমালোচনা। : নব্যভারত । অগ্রন্থায়ণ। "হিন্দুধর্শ্বের আন্দোলন ও সংস্কার" নামক প্রবন্ধে লেখক প্রথমে বাঙ্গলার শিক্ষিত সমাজে হিন্দুধৰ্ম্মেৱ নুতন আন্দোলনের ইতিহাস প্রকাশ কৰুিস্থাছেন, তাছার পর দেখাইয়াছেন আমাদের বর্তমান অবস্থায় পুরাতন হিন্দু প্রথা সম্পূর্ণভাবে পুনঃপ্রচলিত হওয়া অসম্ভব। দৃষ্টান্তজ্ঞরূপ বলেন “ভিন্ন দেশজাত দ্রব্যমাত্রই হিন্দুদের ব্যবহার কর} মিষিদ্ধ। কিন্তু বিলাতী আলু, কোপি, কাবুলি মেওয়া প্রভৃতি ও এখন বিলক্ষণ প্রচলিত হইয়াছে।” “সোড লিমনেড় বরফ প্রভৃতি প্রকাশ্যরূপে হিন্দুসমাজে প্রচলিত। এ সমস্ত যে স্পষ্ট যবন ও ম্লেচ্ছদের হাতের জল ।” তিনি বলেন শাস্ত্রে পলাঙুভক্ষণ নিষেধ কিন্তু দাক্ষিণাত্যে ব্রাহ্মণ হইতে ইতর জাতি পর্যাস্ত সকলেই পলাণ্ডু ভক্ষণ করিয়া থাকে। “যবনকে স্পর্শ করিলে স্নান করিতে হয়, কিন্তু বঙ্গদেশ ব্যতীত, ভারতবর্ষের অপর অংশের হিন্দুগণ মুসলমানদের সহিত একত্রে বসিয়া তাম্বুল ভক্ষণ করেন।” “বজ্ঞউপবীত হইবার পর আমাদিগকে অনুন ৰারে বৎসর গুরুগৃহে বাস করিয়া ব্ৰহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করতঃ শাস্ত্র আলোচনী এবং গুরুর নিকট হইতে উপদেশ গ্রহণ করিতে হয়। পরে গুরুর অনুমতি লইয়া গৃহে প্রত্যাবর্তন করিতে হয় । কিন্তু বর্তমান সময়ে এ পদ্ধতি অনুসারে কে কাৰ্য্য করিয়া থাকে ?” “ব্রাহ্মণের ত্রিসন্ধ্যা করিতে হয় কিন্তু বর্তমান সময়ে যাহারা চাকুরি করেন তাহারা কি প্রকারে মধ্যাহ সন্ধ্য সমাঞ্চ করিতে পারেন?” লেখক বলেন, যাহারা অনাচারী হিন্দুদিগকে