বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o नाँश्वमt { ইতিবৃত্ত” খণ্ডশ; বাহির হইতেছে। রমেশ বাবু যে এতটা শ্ৰম । স্বীকার করিয়াছেন দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইলাম, কারণ, অামাদের দেশের বুদ্ধিমানগণ প্রাচীন হিন্দুসমাজ ঘরে বসিয়া গড়িয়া থাকেন। সে সমাজে কি ছিল কি না ছিল, কোনটা হিন্দু কোনট। অহিন্দু সেটা যেন বিধাতাপুরুষ স্থতিকাগৃহে তাহীদের মস্তিষ্কের মধ্যে লিখিয়া দিয়াছেন, তাহার অন্ত কোন ইতিহাস নাই। ঐতি, হাসিক প্রণালী অনুসরণ করিয়া রমেশ বাবু এই যে প্রাচীন সমাজচিত্র প্রকাশ করিতেছেন ইহার সহিত আমাদের বাঙ্গলার আজন্মপণ্ডিতগণের মস্তিষ্ক-লিখনের ঐক্য হইবে এরূপ আশা করা যায় না। নিজের সখ অনুসারে তাহারা প্রত্যেকেই দুটি চারিটি মনের মত শ্লোক সংগ্ৰহ করিয়া রাখিয়াছেন, ইতিহাস বিজ্ঞানকে তাহার কাছে ঘে"সিতে দেন না। মনে কর তাহার কোন একটি শ্লোকে ঋষি বলিতেছেন রাত্রি, আমরা দেখিতেছি দিন। বঙ্গপণ্ডিত তৎক্ষণাৎ তাহীর মীমাংসা করিয়া দিবেন “ অtছ চোখ বুজিয়া দেখ দিন কি রাত্রি।” অমনি বিংশতি সহস্ৰ চেলা চোখ বুজিবেন এবং মস্তক আন্দোলন করিয়া বলিবেন “আহে। কি আশ্চর্য্য! ঋষিবাক্যের কি মহিমা ! গুরু দেবের কি তত্ত্বজ্ঞান ! দিবালোকের লেশমাত্র দেখিতেছি না ।” যে হতভাগ্য চোখ খুলিয়া থাকিবে, যদি তাহার চোখ বন্ধ করিতে অক্ষম হন ত ধোপ নাপিত বন্ধ করিবেন, এবং দুই একজন মহাপ্রাঙ্ক হুষ্টিছাড়া তত্ত্ব উদ্ভাবন করিয়া তাহার চোখে ধুলা দিতে ছাড়িবেন না । দুঃখের বিষয়, বাঙ্গালীর এই স্বরচিত ভারতবর্ষ, সত্য হৌক মিথ্যা হোকু খুৰ যে উচ্চশ্রেণীর ভারতবর্ষ তাহা, নহে। বাঙ্গল দেশের একখানি গ্রামকে অনেকখানি