পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जभt८क्का’tष्ठनः । እኔm "আধ্যাত্মিক” গঙ্গাজলের সহিত মিশাল করিয়া একটি বৃহৎ ভারতবর্ষ রচনা করা হয় ; সেখানেও কয়েক জল নিস্তেজ নিৰ্ব্বৰ্য্য মানুষ অদৃষ্টের করষ্কৃত নাসারঞ্জ অনুসরণ করিয়া সাতিশয় কৃশ ও পবিত্রভাবে ধীরে ধীরে চলিতেছে ; সমাজ অর্থে জাতি লইয়া দলাদলি, ধৰ্ম্ম অর্থে সৰ্ব্ববিষয়েই স্বাধীন বুদ্ধিকে বলিদান, কৰ্ম্ম অর্থে কেবল ব্ৰতপালন এবং ব্রাহ্মণভোজন, বিদ্যা অর্থে পুরাণ মুখস্থ, এবং বুদ্ধি অর্থে সংহিতার শ্লোক লইয়। আবশ্যক অনুসারে ব্যাকরণের ইন্দ্রজাল দ্বারা আজ “না”কে ই করা কাল "ছা"-কে না করার ক্ষমতা। একটু ভাবিয়া দেখিলেই বুঝা যাইবে বঙ্গসমাজ প্রাচীন হিন্দুসমাজের দ্যায় উন্নত ও সজীব নহে, অতএব বাঙ্গালীর কল্পনার দ্বারা প্রাচীন ভারতের প্রতিমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ অসম্ভব—প্রকৃষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করিয়া রীতিমত ইতিহাসের সাহায্য ব্যতীত আর গতি নাই। একজন চাষা বলিয়াছিল, আমি যদি রাণী রাসমণি হইতাম তবে দক্ষিণে একট। চিনির হাড়ি রাখিতাম, বামে একটা চিনির হাড়ি রাখিতাম, একবার ডান দিক হইতে একমুষ্টি লইয়া খাইতাম একবার বাম দিক হইতে একমুষ্টি লইয়া মুখে পূরিতাম। বলা বাহুল্য চিনির প্রাচুর্য্যে রাণী রাসমণির এতাধিক সন্তোষ ছিল না। রমেশ বাবুও প্রমাণ পাইয়াছেন প্রাচীন ভারতে ব্ৰহ্মণ্য ও সাত্বিকতারই সৰ্ব্বগ্রাসী প্রাচুর্ভাব ছিল না ; মৃত্যুর যেরূপ একটা ভয়ানক নিশ্চল ভাব আছে তখনকার সমাজনিয়মের মধ্যে সেরূপ একটা অবিচল শ্বাসরোধী চাপ ছিল না, তখন বর্ণভেদ প্রথার মধ্যেও সজীব স্বাধীনতা ছিল । কিন্তু চিনিকেই ষে লোক সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট খাদ্য বলিয়া স্থির করিয়াছে, তাছাকে রাণী