জ্যোতির্বিজ্ঞান। २१४ কোন কালেই কিছু জানিতে পারিব না। দৃষ্টান্তস্বরূপ বলিয়াছেন যে,জ্যোতিষ্কগণের গুরুত্ব দূরত্ব বা আয়তন আমরা যতই ঠিক ৰাছির করি না কেন,তাহার কোন কোন পদার্থ দ্বারা নিৰ্ম্মিত ইহ জামাদের জানিবার কোন সম্ভাবনা নাই। বৈজ্ঞানিক-মণ্ডলীতে । হুলুস্থল পড়িয়া গেল যখন একটি ক্ষুদ্র যন্ত্র এই সকল অসম্ভবকে সম্ভব করিয়া পুনৰ্ব্বার জ্যোতিষ শাস্ত্রকে জাগাইয়া তুলিল । উৎসবের সময় আমরা সকলেই দেয়ালগিরির ভগ্ন কাচখণ্ড লইয়৷ ছেলেবেলায় খেলা করিয়াছি এবং তাহার ভিতর দিয়া সকল বৃস্তুকে নানা বর্ণযুক্ত দেখিয়া বিশেষ আনন্দ লাভ করিয়াছি, কিন্তু “বোধ করি কেহ কখনো স্বপ্নেও ভাবি নাই যে, এই কাচখণ্ডের এত ক্ষমতা—যে, ইহার দ্বার। আমরা কেবল মাত্র চৰ্ম্ম-চক্ষে লাল নীল রং না দেখিয়া মানস-চক্ষে বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডের স্বষ্টিপ্রকরণ পৰ্য্যন্ত দেখিবার সাহায্য পাইব । স্পেক্ট স্কোপ নামে এইরূপ ত্রিকোণ-কাচবিশিষ্ট যন্ত্রটির সহিত অনেকে পরিচিত আছেন। যাহারা পরিচিত নহেন তাহীদের জন্য অল্পই বলা আবশ্যক । সকলেই জানেন যে, যে কোন পদার্থ যথেষ্ট উত্তপ্ত হইলেই বাষ্পীভূত হয়। কোন ত্রিকোণ কাচের ভিতর দিয়া এই বাপ নিরীক্ষণ করিলে দেখা যায় যে এক এক পদার্থের বাম্পের এক এক বিশেষ রং । রং দেখিলেই জানা যায় যে কোন বস্তুর বাষ্প দেখিতেছি । কিন্তু এই কাচ দিয়া কোন জলস্ত বস্তুর রং দেখিলে দেখা যায় যে উহাতে লাল নীল সবুজ প্রভৃতি সকল মৌলিক রংই আছে। ত্রিকোণা কাচের ক্ষমতাই এই যে, উহা জলন্ত বস্তুর প্রকাশমান শ্বেত রশ্মিকে বিশ্লিষ্ট করিয়া ফেলে। জলন্ত বস্তুর সম্পূর্ণ রশ্মি যদি পূৰ্ব্বোক্ত বাম্পের ভিতর