বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমালোচনা। গৰ্ব্বশেষে পাঠকদিগকে একটি কথা বলিয়া রাথি । আমরা খুরোপীয় সভ্যতার যে আদর্শভাব উপরে উল্লেখ করিয়াছি বঙ্কিম বাবু তাহার ধৰ্ম্মতত্ত্বে লিখিয়াছেন আমাদের হিন্দুধৰ্ম্মেরও সেই মাদর্শ-অর্থাৎ, মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশসাধন । চন্দ্রনাথ বাবুর মতে হিন্দুধৰ্ম্মের আদর্শ মনুষ্যত্বের পূর্ণ ধ্বংশসাধন। তিনি বলেন হিন্দুধৰ্ম্মের মূল মন্ত্র প্রলয় । এখন হিন্দুগণ বঙ্কিম বাবুর মতে বঁচিবেন কি চন্দ্রনাথ বাবুর মতে মরিবেন সেই একটা সমস্ত উঠিতে পারে। আমরা এ বিষয়ে একটা মত স্থির করিয়াছি । আমরা জীবনের প্রয়াসী, এবং ভরসা করি, লয় ব্যাপারটা যতই “বিরাট’ হোক তাহার এখনো বিস্তর বিলম্ব আছে । সাধনায় আমরা “শিক্ষিত নারী” নামক প্রবন্ধের ষে সমা লোচনা প্রকাশ করিয়াছিলাম বৰ্ত্তমান সংখ্যায় তাহার উত্তর বাহির হইয়াছে। লেখিকা বলিয়াছেন আমরা তাহার প্রবন্ধের মৰ্ম্ম ভুল বুঝিয়াছিলাম। ভূল বুঝিবার কিঞ্চিৎ কারণ ছিল । তিনি আমেরিকার স্ত্রী-অ্যাটর্নি, স্ত্রী-বক্তা প্রভৃতি প্রবলা রমণীদের কথা এমন ভাবে লিথিয়াছিলেন যাহাতে সহজেই মনে হইতে পারে যে, তিনি উক্ত ধনেপোর্জনকারিণী:দিগকে প্রধানতঃ শিক্ষিতা নারীর আদর্শস্থলরূপে খাড়া করিতে চাহেন । র্তাহার যদি এরূপ উদেশ্য না থাকে তবে আমাদের সহিত তাহার মতান্তর দেখি না । কেবল এখনও তিনি ‘নারীজাতির অবরোধ ও অশিক্ষিত জীবনের মূলে যে পুরুষের স্বার্থপরতা বা উৎপীড়ন’ এ অভিযোগ ছাড়েন নাই । লেখিকা ভাবিয়া দেখিবেন “মুল” বলিতে অনেকটা দূর বুঝায়। যদি আমরা বাঙ্গালীরা বলি ইংরাজের স্বার্থপরতাই বাঙ্গালীর জাতীয় অধীনতার মূল তাহ হইলে তাহাতে দুৰ্ব্বল প্রকৃতির বিবেচনাশূন্য র্কাছনি প্রকাশ পায় মাত্র । ইংরাজ আপনি স্বার্থপর প্রবৃত্তি আমাদের উপর খাটাইতেই পারিত না ঘদি আমরা গোড়ায় দুর্বল না হইতাম। অতএব স্বার্থপরতাকে মূল না বলিয়। হর্বলতাকেই মূল বলিয়া ধরা আবশ্যক। সকলপ্রকার অধীনতারই মূলে দুৰ্ব্বলতা । লেখিকা বলিতে পারেন, ষে, এই মুসন্ধ্য উনবিংশ । b ...”